দুই মেরুতে দুই দলের কোচ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডার্বির দিন সকালবেলাই চলে এসেছিলেন শহরে। ইস্টবেঙ্গলের কোচের আসনেও বসলেন অস্কার ব্রুজো। কিন্তু দিনের শেষে ছবিটা বদলাল না লাল-হলুদের জন্য। এর আগে চার ম্যাচে হার। অবশেষে ডার্বি হারের লজ্জা। ম্যাচ শেষে অস্কার স্বীকার করে নিলেন, মোহনবাগান যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে। অন্যদিকে দলের খেলায় খুশি মোহনবাগান কোচ মোলিনা।
কার্লেস কুয়াদ্রাতের বিদায়ের পর তড়িঘড়ি কোচ করা হয় অস্কারকে। টিমকে প্র্যাকটিসও করাতে পারেননি তিনি। ডার্বির দিন কাকভোরে এসেছেন শহরে। আর রাতে ঘুমোতে যাবেন একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে। মোহনবাগানের কাছে ২-০ গোলে হার। ছন্নছাড়া ফুটবল, আক্রমণ বলে কিছু নেই। ম্যাচ শেষে লাল-হলুদের নয়া কোচ বললেন, “মোহনবাগান আমাদের থেকে ভালো দল। ওরা মাঝমাঠ দখলে রেখেছিল। অনেক বেশি আক্রমণাত্মক খেলেছে। সুযোগও তৈরি করেছে। যোগ্য দল হিসেবেই ম্যাচ জিতেছে মোহনবাগান।”
আর নিজের দল? সেই সম্পর্কে অস্কারের বক্তব্য, “আমরা মাঝমাঠে প্রচুর ভুল করেছি। শেষ দশ মিনিট ভালো খেলেছি ঠিকই, কিন্তু এখনও অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। দলটাকে ছন্দে আনতে হবে, সংঘবদ্ধ করতে হবে। মাঠে ফুটবলারদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে দেওয়া যাবে না। আশা করি সামনের ওড়িশা ম্যাচে ভুল শুধরে পয়েন্ট পাব।”
অন্যদিকে ডার্বি জিতেও খুব একটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন না মোলিনা। ম্যাচের আগেও যেমন বিনয়ী ছিলেন, পরেও সেরকমই রইলেন। বরং তিনি খুশি দলের ডিফেন্ডারদের নিয়ে। আর আদর্শ ‘টিম ম্যান’-এর মতো কৃতিত্ব দিলেন গোটা দলকেই। ম্যাচের পর বললেন, “দলের খেলায় খুবই খুশি। সবাই খুব ভালো খেলেছে। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও আধিপত্য দেখাতে পেরেছি। খুব ভালো ডিফেন্স করেছে দল। গোটা টিমকেই ডিফেন্স করতে হত। সেটাই আসল কথা। আমরা যেমন আক্রমণও ভালো করছি, রক্ষণভাগও সেভাবেই সামলাচ্ছি।”
রক্ষণের কথা উঠলে স্বাভাবিকভাবেই আসবে আনোয়ার আলির নাম। ভারতীয় ডিফেন্ডারকে নিয়ে এখনও কোর্টের লড়াই চলছে। ম্যাচের আগে তিনি বলেছিলেন, গোল করলে পুরনো দলের বিরুদ্ধে সেলিব্রেট করবেন না। কিন্তু গোল করা তো দূরে থাক, গোল বাঁচাতে বাঁচাতেই ম্যাচ শেষ হয়ে গেল। তাতেই বা শেষরক্ষা হল কই?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.