ইস্টবেঙ্গল: ১ (জিকসন)
হায়দরাবাদ: ১ (মনোজ মহম্মদ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলের প্রথমবারের জন্য জয়ের হ্যাটট্রিক হল না ইস্টবেঙ্গলের। অ্যাওয়ে ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে আটকে গেল লাল-হলুদ বাহিনী। প্রথমে জিকসন সিং এগিয়ে দিলেও ৯০ মিনিটের মাথায় হায়দরাবাদকে সমতায় ফেরান মনোজ মহম্মদ। ম্যাচের ফলাফল ১-১। হায়দরাবাদ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে একাদশতম স্থানে আছে অস্কার ব্রুজোর দল।
এটা ঠিক যে, অস্কারের হাত ধরে বদল এসেছে ইস্টবেঙ্গলে। একটা সময় পর্যন্ত হায়দরাবাদ ও ইস্টবেঙ্গল লিগ টেবিলে পাশাপাশিই থাকত। সেটা শেষের দিকেই। ইস্টবেঙ্গলের দিক থেকে সেই ছবি কিছুটা বদলেছে। ‘দুর্বল’ হায়দরাবাদ পড়ে রয়েছে তলানিতেই। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল তাদের সহজেই হারাবে। কিন্তু গাচ্চিবৌলি স্টেডিয়ামে কাজটা সম্ভব করতে পারলেন না ক্লেটনরা। প্রথমার্ধে দুয়েকটা বিচ্ছিন্ন সুযোগ ছাড়া গোলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি তারা। মাঝমাঠে বড্ড সাদামাটা ফুটবল খেলল দুই দল। তার মাঝে ক্লেটনকে ট্যাকল করা নিয়ে পেনাল্টির আবেদন জানায় লাল-হলুদের ফুটবলাররা। রেফারি অবশ্য তাতে কর্ণপাত করেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোলের মুখ খুললেন জিকসন সিং। যদিও তাতে ক্লেটনের ভূমিকাই সিংহভাগ। তাঁর অনবদ্য ফ্রিকিক বারে লেগে ফিরে আসে। বক্সের মধ্যে তৈরি ছিলেন জিকসন। ফিরতি বলে হেড করে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। তার পরেও একাধিকবার আক্রমণে উঠে ছিল লাল-হলুদ বাহিনী। বরং ম্যাচ যখন ৯০ মিনিট ছুঁইছুঁই, তখনই জয়ের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল তাদের জন্য। ডিফেন্সের ফাঁকফোকর ধরে হায়দরাবাদকে সমতায় ফেরান ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী মনোজ মহম্মদ। অস্কারের হাত ধরে বদল এসেছে ঠিকই, কিন্তু গোল খাওয়ার প্রবণতা রয়ে গিয়েছে কুয়াদ্রাতের আমলেই। যখন এডমিলসন কোরেয়া বল ধরে মনোজকে গোলের বল সাজিয়ে দিলেন, তখন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের জমাট ভাব উধাও। বলতে হয়, অ্যালেক্স সাজির কথাও। রক্ষণে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিলেন তিনি। অন্যদিকে বছর শেষে একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে ফিরবেন অস্কার। এই ম্যাচ জিতলে লিগ টেবিলে ৯ নম্বর স্থানে উঠে আসতে পারত ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগ তো হারালই, সেই সঙ্গে আচমকা ছন্নছাড়া হওয়ার রোগও সারাতে হবে অস্কারকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.