সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর পর চার ম্যাচে হার। কুয়াদ্রাতের বিদায়ের পরও ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি ইস্টবেঙ্গলের। বরং জামশেদপুরে দুঃস্বপ্নের এক রাত কেটেছে বিনো জর্জের দলের। অসংখ্য সুযোগ মিস, পেনাল্টি নষ্ট এবং শেষপাতে আত্মঘাতী গোল। লিগ টেবিলে সবার শেষে লাল-হলুদ। তবু আত্মবিশ্বাসী ক্লেটনদের কোচ। তাঁর দৃঢ় প্রত্যয়, প্রথম ছয়ের মধ্যেই থাকবে ইস্টবেঙ্গল।
জামশেদপুরে ২ গোলে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। অথচ একাধিক গোলে জিততে পারত তারা। ম্যাচ শেষে বিনো বললেন, “কপালটাই খারাপ ছিল আজ। পেনাল্টি মিস করেছি। অনেকবারই আমাদের শট বারে, পোস্টে লেগে ফিরে এসেছে। ওদের গোলকিপারও কিছু অসাধারণ সেভ করেছে। পেনাল্টি থেকে গোল পেলে ম্যাচের ছবিটা অন্যরকম হত।”
বিনো যে কথাই বলুক না কেন, ছবিটা বদলাচ্ছে না। এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। চার ম্যাচের পরই শেষ ছয়ের থাকার স্বপ্ন ভাঙতে শুরু করেছে। কিন্তু হাল ছাড়ছেন না ইস্টবেঙ্গলের কোচ। বরং ক্রেসপোরা ভালো খেলেছে বলেই মন্তব্য তাঁর। বিনো বলেন, “এখনও আমার বিশ্বাস, আমাদের খেলোয়াড়রা যথেষ্ট ভাল। আমার কাজ ওদের উজ্জীবিত করা ও উৎসাহ জোগানো। গত তিনটি ম্যাচের তুলনায় আমরা আজ অনেক আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছি। আমরা প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ শুরু করেছিলাম। সবে চারটি ম্যাচ হয়েছে। আইএসএল অনেক দীর্ঘ। ইস্টবেঙ্গলের যে স্পিরিট আছে, তা আমরা ফিরিয়ে আনব। সামনে দীর্ঘ অবকাশ রয়েছে, তার পরে আশা করি আমরা তরতাজা হয়েই ফিরে আসব। আমি একশো শতাংশ বিশ্বাস করি যে, ইস্টবেঙ্গল সেরা ছয়ের মধ্যেই থাকবে।”
এর পরের ম্যাচই ডার্বি। শনিবার রাতে যখন ইস্টবেঙ্গলের জন্য ভরাডুবি, তখন মহামেডানের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের পাল-তোলা নৌকা তড়তড় করে ছুটছে। এই পরিস্থিতিতে লাল-হলুদের কাছে আশার আলো কী? জামশেদপুর ম্যাচের প্রসঙ্গে বিনোর বক্তব্য, “বল পজেশনে আমরা অনেক এগিয়ে ছিলাম। গোলের সুযোগও আমরা বেশি তৈরি করেছি। এখন আমাদের কাছে পয়েন্ট গুরুত্ব হলেও আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের কাছে তা নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.