মোহনবাগান: ২ (কামিংস, ম্যাকলারেন)
বেঙ্গালুরু: ১ (আলবার্তো- আত্মঘাতী)
স্বপ্নের যুবভারতী। আবেগ, ভালোবাসা, স্বপ্নে ভরা একটা রাত। যে রাতের রং সবুজ-মেরুন। যে যুবভারতীর রং সবুজ-মেরুন। বেঙ্গালুরুকে ২-১ গোলে পরাস্ত করল মোহনবাগান। অথচ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল তারা। আত্মঘাতী গোল করেন আলবার্তো রদ্রিগেজ। কিন্তু এবার গোটা মরশুম জুড়ে মোহনবাগান যেটা করে এসেছে, এদিনও তাই করল। যেন যতক্ষণ মোহনবাগান না বলবে, ততক্ষণ ম্যাচ শেষ নয়। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরালেন কামিংস। আর অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে জয়সূচক গোল ম্যাকলারেনের। এর আগে কোনও দল নিজেদের ঘরের মাঠে আইএসএল কাপ জিততে পারেনি। সেখানে মোহনবাগান নতুন ইতিহাস গড়ল। লিগ শিল্ড জয়ের পর আইএসএল কাপ জিতে দ্বিমুকুটও উঠল মোহনবাগানের মাথায়।
অতিরিক্ত সময়ের খেলাও শেষ। আইএসএল কাপ চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। ২-১ গোলে বেঙ্গালুরুকে হারাল সবুজ-মেরুন বাহিনী।
১১৮ মিনিট: আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা। মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে মোহনবাগান।
১১২ মিনিট: মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টায় বেঙ্গালুরু। ঠিকভাবে ক্রস রাখতে পারলেন না নাওরেম। কাউন্টার অ্যাটাকে ব্যবধান বাড়াতে পারত মোহনবাগানও।
১০৯ মিনিট: সুযোগ এসেছিল পেত্রাতোসের সামনে। কিন্তু একটু বেশিই সময় নিয়ে ফেললেন তিনি।
১০৭ মিনিট: বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু সুনীলের শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়।
অতিরিক্ত সময়ের হাফটাইম। মোহনবাগান এগিয়ে আছে ২-১ গোলে।
১০১ মিনিট: গোল করার পরই তুলে নেওয়া হল ম্যাকলারেনকে। সেই জায়গায় নামলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
৯৫ মিনিট: গোওওও…ল!!!! মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন ম্যাকলারেন। প্রয়োজনের সময়ে কীভাবে জ্বলে উঠতে হয়, তা ভালো মতোই জানেন সমর্থকদের আদরের ‘ম্যাকা’। স্টুয়ার্টের নির্বিষ বল পৌঁছয় বেঙ্গালুরুর বক্সে। কিন্তু সেটা ক্লিয়ার করতে পারেননি চিংলেন সানা। সেই সুযোগ গুরপ্রীতের পায়ের ফাঁকা দিয়ে জালে জড়িয়ে দিলেন ম্যাকলারেন। খেলার ফলাফল মোহনবাগানের পক্ষে ২-১।
অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু। শুভাশিস বোসের জায়গায় নামলেন দীপক টাংরি।
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। ফলাফল ১-১।
৯০+৩ মিনিট: সহজ সুযোগ মিস করলেন ম্যাকলারেন। নাহলে নির্ধারিত সময়েই ম্যাচ শেষ হয়ে যেতে পারত।
৮৯ মিনিট: একক দক্ষতায় বেঙ্গালুরুর বক্সের ঢুকে পড়েছিলেন। তিনজন প্লেয়ারকে কাটালেও তাঁর শট কোনও মতে বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত।
৮৮ মিনিট: সাহালকে অবৈধভাবে আটকে হলুদ কার্ড দেখলেন বেঙ্গালুরুর পাবলো।
৮২ মিনিট: গোলের গন্ধ পাচ্ছে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ সাহালদের। আশিকের ভাসানো বল ম্যাকলারেন হেড করলে কর্নার পায় মোহনবাগান। সেটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ফলাফল এখনও ১-১।
৮০ মিনিট: গোলদাতা কামিংসের বদলে নামানো হল গ্রেগ স্টুয়ার্টকে।
৭৪ মিনিট: পালটা আঘাত শুরু মোহনবাগানের। সাহাল-আশিকরা নামতেই আগুন ছোটাচ্ছে সবুজ-মেরুনের মাঝমাঠ। তার মধ্যেই সহজ সুযোগ হাতছাড়া করলেন ম্যাকলারেন।
৭২ মিনিট: পেনাল্টি থেকে গোল কামিংসের, সমতা ফেরাল মোহনবাগান। তাঁর বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শট জালে জড়িয়ে যায়। ঠিক দিকে ঝাঁপ দিয়েও নাগাল পাননি গুরপ্রীত। আর মোহনবাগান সমতা ফেরাতেই উল্লাসে ফেটে পড়ল প্রায় ষাট হাজারের যুবভারতী।
৭০ মিনিট: পেনাল্টি পেল মোহনবাগান। বক্সের বাঁদিক থেকে ক্রস ভাসিয়েছিলেন কামিংস। ফ্লিক করার চেষ্টা করেন ম্যাকলারেন। কিন্তু তা বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার চিংলেন সানার হাতে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টি দেন রেফারি।
৬৪ মিনিট: একাধিক সুযোগ মোহনবাগানের সামনে। দুর্দান্ত স্কিলে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন সাহাল। কিন্তু মারলেন বেঙ্গালুরু ডিফেন্ডারের গায়ে। তারপরও সুযোগ এসেছিল সাহালের সামনে।
৬০ মিনিট: জোড়া বদল মোহনবাগানের। মাঠে এলেন সাহাল আবদুল সামাদ ও আশিক কুরুনিয়ান। বাইরে গেলেন লিস্টন ও অনিরুদ্ধ।
৫৬ মিনিট: পালটা আক্রমণে মোহনবাগান। কামিংসের বাঁ পায়ের শট বাঁচালেন গুরপ্রীত।
৪৯ মিনিট: দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ধাক্কা। আত্মঘাতী গোল করলেন আলবার্তো রদ্রিগেজ। ডানদিক থেকে ক্রস তুলেছিলেন উইলিয়ামসন। কিন্তু বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে নিজের জালেই জড়িয়ে দিলেন মোহনবাগানের ডিফেন্ডার। কিছুই করার ছিল না বিশালের। মোহনবাগান পিছিয়ে ০-১ গোলে।
৪৭ মিনিট: উইলিয়ামসের শট কোনও মতে আটকে দিলেন বিশাল। পালটা আক্রমণ মনবীরের।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু।
প্রথমার্ধ শেষ। ফলাফল এখনও ০-০। তবে আগাগোড়া দাপট বেঙ্গালুরুর। একাধিকবার গোলের সুযোগও আসে সুনীল ছেত্রীদের কাছে। অন্যদিকে মরিয়া হয়ে গড়রক্ষা করছে মোহনবাগানের রক্ষণভাগ। এডগার মেন্ডেজদের আটকাতে হিমশিম অবস্থা শুভাশিসদের। ৬৫ শতাংশ বল পজিশন বেঙ্গালুরুর। গোলমুখে শটও বেশি।
৪৭ মিনিট: বাঁদিক থেকে অনবদ্য ফুটবল সুনীল ছেত্রীর। হেডে সুযোগ এসেছিল তাঁর কাছে। কিন্তু গোলে রাখতে পারলেন না।
৩৯ মিনিট: ডান প্রান্ত থেকে লো ক্রস উইলিয়ামসের। তালুবন্দি করলেন বিশাল।
৩৭ মিনিট: ফের কর্নার থেকে গোলের সুযোগ চলে এসেছিল বেঙ্গালুরুর কাছে। এবারও কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
৩০ মিনিট: খেলার ফলাফল এখনও ০-০। তবে আক্রমণে ঝড় তুলছে বেঙ্গালুরু। একেবারেই নিষ্প্রভ মোহনবাগানের মাঝমাঠ। গড়রক্ষায় মরিয়া লড়াই শুভাশিসদের।
২৫ মিনিট: লাগাতার আক্রমণ বেঙ্গালুরুর। বক্সের মধ্যে নিয়মিত ক্রস তুলছেন উইলিয়ামসরা। উঠল পেনাল্টির আবেদনও। কিন্তু রেফারি নাকচ করে দেন।
২৩ মিনিট: বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন বেঙ্গালুরুর নাওরেম রোশন। কিন্তু আশিসের তৎপরতায় বল গোলে রাখতে পারেননি। তার আগে নামগেলের ক্রস তালুবন্দি করেন বিশাল।
১৯ মিনিট: গোলের সুযোগ এসেছিল সুনীল ছেত্রীর সামনে। তাঁর হেড গোললাইনের সামনে থেকে আটকে দেন মোহনবাগানের ডিফেন্ডার শুভাশিস।
১৮ মিনিট: ডান দিক থেকে পালটা আক্রমণে মনবীর। তাঁর মাটি ঘেঁষা তালুবন্দি করেন গুরপ্রীত।
১৬ মিনিট: শুভাশিসের ভুলে বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
১৪ মিনিট: বাঁ প্রান্ত ধরে দুরন্ত আক্রমণ সবুজ-মেরুনের। আপুইয়ার শট বাঁচিয়ে দেন রাহুল ভেকে।
৮ মিনিট: পালটা আক্রমণ শুরু মোহনবাগানের। বক্সের মধ্যে ঢুকে শট নিয়েছিলেন ম্যাকলারেন। সেভ করেন গুরপ্রীত। তারপরই বক্সের মধ্যে পাস বাড়িয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। বিপন্মুক্ত করল বেঙ্গালুরু।
৫ মিনিট: শুরু থেকেই আক্রমণে বেঙ্গালুরু। দুরন্তভাবে সামলাচ্ছে মোহনবাগান রক্ষণভাগও।
সন্ধ্যা ৭:৩০- আইএসএল কাপ ফাইনাল শুরু। একদিকে চিরাচরিত সবুজ-মেরুন জার্সিতে মোহনবাগান। অন্যদিকে নীল জার্সিতে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বেঙ্গালুরুও।
সন্ধ্যা ৭:১৫- সবুজ-মেরুনময় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। হাজার-হাজার মোহনবাগান সমর্থকের উল্লাসে ফেটে পড়ছে যুবভারতী।
ঘোষিত মোহনবাগানের প্রথম একাদশ: বিশাল কাইথ, অলড্রেড, অনিরুদ্ধ থাপা, মনবীর সিং, শুভাশিস বোস (অধিনায়ক), লিস্টন কোলাসো, আলবার্তো রদ্রিগেজ, জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস, আশিস রাই, আপুইয়া।
Mariners XI for tonight’s action
♥️#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/wqb6PXbSJx
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) April 12, 2025
ঘোষিত বেঙ্গালুরুর প্রথম একাদশ: গুরপ্রীত সিং, নামগেল ভুটিয়া, চিংলেন সানা সিং, রাহুল ভেকে, নাওরম রোশন, আলবার্তো নোগুয়েরা, সুরেশ সিং, পেদ্রো কাপো, এডগার মেন্ডেজ, রায়ান উইলিয়ামস, সুনীল ছেত্রী (অধিনায়ক)।
সন্ধ্যা ৬:৫০- আইএসএল ফাইনাল বয়কট করলেন অরূপ বিশ্বাস। আমন্ত্রণের পরও আসছেন না রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। প্রথমে এফএসডিএল তাঁকে যুবভারতীতে আমন্ত্রণ জানায়নি। পরে মোহনবাগান সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষের প্রতিবাদের পর তড়িঘড়ি ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত আসছেন না অরূপ বিশ্বাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.