সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডার্বির মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২৯ মিনিটে জোড়া লালকার্ড। ‘নিশ্চিত’ পেনাল্টি না দেওয়া। এক ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে ভিলেন বনে গিয়েছেন ফিফা স্বীকৃত রেফারি হরিশ কুণ্ডু। অথচ, এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা রেফারি হিসাবে পরিচিত হরিশ। অভিজ্ঞতাও নেহাত কম নয় তাঁর।
হরিয়ানার বাসিন্দা হরিশ কুণ্ডু দিল্লি ফুটবলার সংস্থায় নথিভুক্ত। বয়স মাত্র ৩২। এর মধ্যেই ৩৫৩টি ম্যাচ পরিচালনা করে ফেলেছেন তিনি। এর মধ্যে আইএসএল, আই লিগ, আই লিগ টু, ডুরান্ড কাপ, সুপার কাপ এমনকী এএফসির ম্যাচও রয়েছে। বস্তুত হরিশকে দেশের অন্যতম সেরা রেফারি হিসাবে মনে করা হয়। ভারতীয় ফুটবলে ‘পরিচিত’ রেফারিংয়ের ধাঁচ অনেকাংশেই মানেন না তিনি। তাঁর কাছে রেফারিং ম্যানুয়ালই শেষ কথা। যে কারণে ভারতীয় ফুটবল মহলে তিনি পরিচিত কড়া রেফারি হিসাবে।
পরিসংখ্যানও সে কথাই বলছে। ৩৫৩টি ম্যাচে ২৩টি লাল কার্ড এবং ৫৮৯টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন হরিশ। এ পর্যন্ত মোট ১৯টি পেনাল্টি দিয়েছেন তিনি। কার্ড দেখানো বা ফাউল দেওয়ার ক্ষেত্রে ম্যাচের পরিস্থিতি বিশেষ দেখেন না তিনি। সেটা দেখলে হয়তো ২৯ মিনিটের মধ্যে শনিবার জোড়া হলুদ কার্ড দেখতে হত না লাল-হলুদ ফুটবলারদের। ইস্টবেঙ্গলকে নিশ্চিত পেনাল্টি না দেওয়ার জন্য রেফারি হরিশ কুণ্ডু চরম সমালোচনার মুখে পড়লেন বললেও কম বলা হয়। ফুটবল সমর্থকরা মনে করছেন, ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম লাল কার্ড দেখানোর জন্য সত্যিই সমালোচনা করা যায় না। দ্বিতীয় লাল কার্ডের ক্ষেত্রে বলা যায়, রেফারি বেনিফিট অফ ডাউটে ছাড় দিতেও পারতেন মহেশকে।
সেটাও যদি বা মানা যায়, পেনাল্টি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই মানতে পারছেন না লাল-হলদু সমর্থকরা। দিয়ামান্তাকস যখন বল নিয়ে মহামেডান বক্সে ঢুকছেন, রেমসাঙ্গা তখন দিয়ামান্তাকসকে পিছন থেকে ট্যাকল করার চেষ্টা করছেন। যে মুহূর্তে তিনি বল নিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েছেন, বক্সের ভিতর ল্যাং মারলেন রেমসাঙ্গা। বল হারিয়ে দিয়ামান্তাকস মাটিতে পড়ে গেলেও লাল পেনাল্টি দিলেন না রেফারি!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.