ইস্টবেঙ্গল: ৩ (দিয়ামান্তাকোস, মহেশ সিং, লালচুংনুঙ্গা)
পাঞ্জাব: ১ (ভিদাল)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। বাংলার প্রাচীন প্রবাদ শনিবাসরীয় ম্যাচে আরও একবার মনে করাল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ছয়ের দৌড়ে থাকা পাঞ্জাব এফসিকে হেলায় হারিয়ে দিল লাল-হলুদ শিবির। ইস্টবেঙ্গল জিতল ৩-১ গোলে। শনিবার যে পারফরম্যান্সটা আনোয়ার, দিয়ামান্তকসরা করলেন, সেই পারফরম্যান্স দেখার পর হয়তো ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা হাত কামড়াবেন, ইশ যদি আর কিছুদিন আগে থেকে এমন খেলা দেখা যেত!
এই মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের মূল সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব, গোলমুখে ব্যর্থতা, এবং চোট আঘাত জনিত সমস্যা। তৃতীয় সমস্যাটি শনিবারও ছিল। মাঝমাঠে নিয়মিত কোনও ফুটবলার ছিলেনই না। শেষে আনোয়ারকে মাঝমাঠে রেখে দল সাজান অস্কার। আর তাতেই বাজিমাত। এদিন একেবারে শুরু থেকেই ঝকঝকে দেখাল ইস্টবেঙ্গলকে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, যে ইস্টবেঙ্গলকে এতদিন গোলকানা মনে হচ্ছিল, গোলের সামনে এদিন সেই ইস্টবেঙ্গলকেই বেশ স্বচ্ছন্দ্য মনে হল।
ম্যাচের ১৫ মিনিটেই প্রথম গোলটি পেয়ে গেলেন দিয়ামান্তাকোস। সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকারের মতোই বক্সের ভিতর থেকে গোলটি করলেন তিনি। লাল-হলুদ শিবিরের দ্বিতীয় গোলটি এল দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শুরুতেই। এবার অনবদ্য গোল করলেন মহেশ। তবে ৫৪ মিনিটে লালচুংনুঙ্গা যে গোলটি করলেন সেটি এককথায় বিশ্বমানের। আরও গোটা দুয়েক গোল ইস্টবেঙ্গল করতে পারত। যদি না প্রথমার্ধে দিয়ামান্তাকোসের শট বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হত, বা দ্বিতীয়ার্ধে মেসি বৌলির করা গোল ফাউলের জন্য বাতিল করা হত। পরে অবশ্য ঝকঝকে পারফরম্যান্সে অস্বস্তির কাঁটার মতো একটি গোল হজম করতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। ৬২ মিনিটে পাঞ্জাবের হয়ে গোল করেন ভিদাল। তবে সেটা সম্পূর্ণ খেলার গতির বিপরীতে।
এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে একধাপ উপরে ১০ নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। ২১ ম্যাচে লাল-হলুদ শিবিরের সংগ্রহ ২৪ পয়েন্ট। এ পর্যন্ত আইএসএলে এটাই যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। গত মরশুমে ২৪ পয়েন্টে শেষ করেছিল লাল-হলুদ। এবার সেটা টপকানোর সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া খাতায়কলমে এখনও নকআউটে সুযোগ পাওয়ার ক্ষীণ একটা সম্ভাবনা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। সে আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে অবশ্য পরের ম্যাচগুলিও জিততেই হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.