স্টাফ রিপোর্টার: আগের ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ড্র করে শেষ চারে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল করে ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান। এমনিতে পয়েন্টের বিচারে এখনও প্রথম চারের মধ্যেই রয়েছে ফেরান্দোর দল। কিন্তু প্রথম চারের দলগুলিও সব গায়ে গায়ে। ফলে বুধবার ওড়িশা এফসির (Odisha FC) বিরুদ্ধে ম্যাচে পয়েন্ট হারালে বেশ সমস্যায় পড়তে হবে। তাই ওড়িশা ম্যাচে শুরু থেকে গোলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে চান সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। কিন্তু ওড়িশার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে গেলে যে ফুটবলারদের লাগবে, চোট কাটিয়ে বুধবারের ম্যাচে তাঁদের সবাইকে কি পাওয়া যাবে?
দলের ফুটবলারদের ফিটনেসের প্রসঙ্গ উঠতেই কোচ জুয়ান ফেরান্দো বললেন, “এটা বলব না যে, আমার দলের সবাই একশো শতাংশ ফিট। কোভিড পরিস্থিতির পর সেটা সম্ভবও নয়। তবু এই অবস্থাতেও ফুটবলাররা যে অবস্থায় আছে, আমি খুশি।” শেষ ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে সব হচ্ছিল, শুধু গোলটাই হচ্ছিল না। এটিকে মোহনবাগান কোচ বললেন, “লিস্টনরা দারুণ খেললেও গোলটাই হচ্ছিল না। তবে আমি অন্য একটা প্রসঙ্গের উল্লেখ করব। যখন গোল হচ্ছিল না, তখনও কিন্তু কেরালার ফুটবলাররা মাঠের কোথাও স্পেস পায়নি। পুরো খেলাটা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। সমস্যা তখনই হয়, যখন প্রতিপক্ষ খেলার জন্য জায়গা পেয়ে যায়। কেরালা যখন খেলার জন্য জায়গা পাচ্ছিল না, তখন জানতাম, এক সময় না একসময় দল ঠিক গোল পাবে।”
কেরালার (Kerala Blasters) বিরুদ্ধে একদম শেষ মুহূর্তে গোল পেলেও ফেরান্দো মনে করছেন, অনেক আগেই দলের গোল পাওয়া উচিত ছিল। বলছিলেন, “শেষ মুহূর্তের গোলে এক পয়েন্ট এলেও, অনেক আগেই কিন্তু আমরা গোল পেয়ে যেতাম। ম্যাচের ৭৫-৮০ মিনিটের মধ্যেই গোল পেয়ে যেতে পারতাম আমরা। কেরালা গোল করে দেওয়ার পর আমরা আর সময় নষ্ট করতে চাইনি। কত তাড়াতাড়ি গোল শোধ করা যায়, তা নিয়েই সবাই ভাবছিলাম। শেষ পর্যন্ত যে গোলটা শোধ হয়েছে, সেটাই দলের জন্য ভাল ব্যাপার।”
এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে পয়েন্ট নষ্ট করলেই সমস্যায় পড়তে হবে। তাই জেতার জন্য ওড়িশার বিরুদ্ধে রয় কৃষ্ণকে শুরু থেকেই খেলানো হবে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে এটিকে মোহনবাগান কোচ বললেন, “রয় কৃষ্ণর চোটটা খুবই বাজে। তাই ওকে বুঝেশুনে মাঠে নামাতে হবে। প্রত্যেক ম্যাচে দেখেশুনে ওকে কখনও ২০ মিনিট, কখনও ৪০ মিনিট করে খেলিয়ে ম্যাচ ফিট করে তুলব। কারণ চূড়ান্ত মুহূর্তের ম্যাচগুলিতে রয় কৃষ্ণকে দরকার। তবে শুধু রয় কৃষ্ণ নয়। চোট পাওয়া সব ফুটবলারকেই এভাবে আস্তে আস্তে ম্যাচ ফিট করে তুলব।”
কিন্তু এই মরশুমে অসাধারণ ফর্মে থাকা লিস্টন কোলাসো, আইএসএলের শেষ পর্বে এসে যেন কিছুটা অফ ফর্মে চলে যাচ্ছেন। ফেরান্দো অবশ্য এর মধ্যে লিস্টনের কোনও দোষ দেখছেন না। বললেন, “লিস্টনও তো মানুষ। ভাবুন তো, শেষ চার-পাঁচটা ম্যাচে ওকে টানা ৯০ মিনিট খেলতে হচ্ছে। কোভিড (COVID-19) পরবর্তী সময়ে এরকম টানা খেলে গেলে ফর্মে তো তার প্রভাব পড়বেই।” ওড়িশা এফসির জোনাথা কিন্তু এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে রয়েছেন। এটিকে মেহনবাগান কোচ প্রসঙ্গটি গুরুত্ব না দিয়ে বললেন, “মানছি, জোনাথা দারুণ ফুটবলার। কিন্তু একা কিছু করতে পারবে না। আমি ভাবছি, ওদের পুরো দল নিয়ে। ওড়িশার পুরো দলটাই ভীষণ ভাল। “
শেষ ম্যাচে কেরালার বিরুদ্ধে মাথা গরম করে ফেলেছিলেন হুগো বুমোস (Hugo Boumos)। সেই প্রসঙ্গে ফেরান্দো বললেন, “পেশাদার ফুটবলারকে সব সময় আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সব সময়, সব কিছুই যে নিজের মনমতো হবে, এরকম নয়। প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্যও মনকে তৈরি রাখতে হবে।” প্রবীর এবং সহকারী বাস্তবের কার্ড দেখা নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলতে চান না তিনি। বললেন , “ যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি।”
আজ আইএসএলে
ওড়িশা এফসি
বনাম এটিকে মোহনবাগান
সন্ধে ৭.৩০, গোয়া
স্টার স্পোর্টস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.