স্টাফ রিপোর্টার: তিন পয়েন্টের সন্ধানে নেমে পড়েছেন লাল-হলুদ কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজ। অথচ জানেন না কীভাবে আসল লক্ষ্যে তিনি পৌঁছবেন। কীভাবে ফোটাবেন কোটি কোটি সমর্থকের মুখে হাসি। তবে এটুকু বুঝে গিয়েছেন, গত পাঁচটা ম্যাচের তুলনায় রবিবারের ম্যাচও খুব একটা সহজ হবে না।
এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) এমন দশা অতীতে কখনও হয়নি। হারতে হারতে এখন তারা শুধু লিগ টেবিলের একদম নিচে শুধু নেই, ইতিমধ্যে খেয়েছে ১৪টা গোল। যা সুনামে কালি লাগানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট। আজ গোয়ার তিলক ময়দানে যদি ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহলে জল অনেক দূর গড়াতে পারে। এবার হয়তো দেখা যাবে সভ্য-সমর্থকরা নেমে পড়বেন রাস্তায়। প্রতিবাদের ঝড় উঠতে শুরু করবে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও স্প্যানিশ কোচ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের কাছে তিন পয়েন্ট পাওয়া মোটেই সহজ হবে না। বরং প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্সকে (Kerala Blasters) সম্মান জানিয়ে দিয়াজ স্পষ্ট বলেছেন, “কেরালা হচ্ছে একটা কমপ্যাক্ট দল। মাঠে ওরা খুব পরিশ্রম করে খেলে। তাই ওদের হারানো মোটেই সহজ হবে না। আবার আমরা একটা কঠিন ম্যাচ খেলতে চলেছি।”
কিন্তু লাল-হলুদ শিবিরের এখন যা পরিস্থিতি তারা খেলতে নামার আগেই হেরে বসছে। মনোবল গিয়ে ঠেকেছে একদম তলানিতে। তাই দলকে একপ্রকার সতর্ক করে দিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাণ্ডারি বলেছেন, “প্রত্যেকটি ম্যাচের পরে আমাদের খেলার স্টাইল বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে। শুধুমাত্র শারীরিক সমস্যাকে বড় করে দেখলে হবে না। পুরো পরিস্থিতি উন্নতি না করে উপায় নেই। তারমধ্যে যেমন ফিটনেস রয়েছে, পাশাপাশি টেকনিক্যাল বা কৌশলগত দিকটাকে খতিয়ে দেখা জরুরি।” তাঁর দল যে মোটেই ভাল খেলছে না, তা তুলে ধরতে বিন্দুমাত্র ভুলছেন না দিয়াজ। তাঁর মতে, প্রতিটি ম্যাচে গোল খেলে কোনও দলের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। “আমরা পাঁচটা ম্যাচ খেলেছি। বাস্তব হচ্ছে এটাই। যেখানে প্রচুর গোল খেতে হয়েছে। বেশ কিছু ম্যাচে আমরা হয়তো জিততে পারতাম। অথচ ম্যাচের শেষে সেখানে আমরা পারিনি। তবে যেভাবে হোক আমাদের তিন পয়েন্ট পেতে হবে,” জানিয়ে দিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ।
দিয়াজকে (Manuel Diaz) সমস্যায় ফেলে দিয়েছে দলে চোট-আঘাতের সংখ্যা। গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য এখনও পুরো ফিট হতে পারেননি। সুতরাং তাঁর পক্ষে আজও নামা অসম্ভব। তাঁর বদলে গোলকিপার শুভম সেনকেই খেলাতে হবে। শুভম সেনের উপর টিম ম্যানেজমেন্ট খুব যে খুশি তাও বলা যাবে না। কিন্তু উপায় নেই। তার উপর ড্যারেন সিডোয়েল এখনও পুরো ফিট হতে পারেননি। হ্যামস্ট্রিং সমস্যা তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। জ্যাকিচাঁদ সিং আগের তুলনায় অনেকটা ফিট ঠিকই, তবে পুরোপুরি খেলার জায়গায় এখনও আসতে পারেননি। আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। তাছাড়া আদিল খান, রফিকরাও পুরো ফিট নন। তাই প্রথম একাদশ বাছতে গিয়ে তাঁকে বারবার হোঁচট খেতে হচ্ছে। কিন্তু এতসব সমর্থকরা বুঝতে যাবেন কেন? তাঁদের কাছে আসল হল তিন পয়েন্ট। দিয়াজ বুঝতে পারছেন, সমর্থকদের ধৈর্য্যের বাঁধে ক্রমশ ফাটল ধরেছে। এ জিনিস চলতে থাকলে যে কোনও দিন তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.