ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার: প্র্যাকটিস হল না দুই দলের। এমনকী দুই দলের কোচ সাংবাদিক সম্মেলনও করলেন না। তাই ম্যাচ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। গত পাঁচ দিন ধরে প্র্যাকটিস বন্ধ এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan)। তাই আগে থেকে ঠিক ছিল শুক্রবার ম্যাচের আগে দলকে নিয়ে প্র্যাকটিসে নামবেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। শেষমেশ প্র্যাকটিস বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় সবুজ-মেরুন শিবির। শুধু কলকাতার দলটি নয়, বেঙ্গালুরুও (Bengaluru FC) গত তিন দিন প্র্যাকটিস করেনি। এদিন তারাও মাঠমুখো হতে পারেনি।
আগে ঠিক ছিল বেঙ্গালুরু বিকেল চারটের নাগাদ তাদের কোচকে সাংবাদিক সম্মেলনে বসাবে। কিন্তু তিনটে নাগাদ তারা জানিয়ে দেয়, অনিবার্য কারণবশত এই প্রেস কনফারেন্স করা সম্ভব হচ্ছে না। ম্যাচের আগে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। তবে এটিকে মোহনবাগানে এদিন নতুন করে কেউ সংক্রমিত হয়নি। শনিবার দুপুর নাগাদ আইএসএল কর্তৃপক্ষ জানাবে ম্যাচ আদৌ হবে কিনা। তবে ঘটনা যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে মনে হয়না ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমনিতেই এটিকে মোহনবাগানে চারজন ফুটবলার করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। সুতরাং যদি খেলা হয় তাহলে এই চারজনকে পাওয়া যাবে না। প্রথম একাদশের চারজনের যদি করোনা হয় তাহলে এটিকে মোহনবাগানের পক্ষে সম্ভব নয় ম্যাচ খেলতে রাজি হওয়া। তার চেয়েও বড় কথা দীর্ঘদিন যেখানে প্র্যাকটিস বন্ধ সেখানে খেলার প্রশ্ন ওঠাই অস্বাভাবিক। তার উপর ম্যাচের আগের দিনও কোচ পারলেন না ফুটবলারদের নিয়ে মাঠে যেতে। তাই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এটিকে মোহনবাগানের টিম ম্যানেজমেন্টের এক শীর্ষকর্তা বলছিলেন, “আমাদের পক্ষে কখনও বলা সম্ভব নয়, ম্যাচ হবে না। শেষ মুহূর্তে আইএসএল কর্তৃপক্ষ বলতেই পারে খেলতে নেমে পড়। তখন আমাদের মাঠে না নেমে উপায় থাকবে না। তবে ঘটনাগুলোকে যদি সাজানো হয় তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি, ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। যেহেতু টানা পাঁচদিন প্র্যাকটিস হয়নি। তার উপর এদিন নজিরবিহীনভাবে কোচদের সাংবাদিক সম্মেলন করতে বারণ করা হয়েছিল। তাহলে কীভাবে ম্যাচ হবে সেটাই আমরা বুঝতে পারছি না।”
তবে বাঁচোয়া একটাই, শনিবার ম্যাচ না হলে চারজন আক্রান্ত ফুটবলার পরবর্তী ম্যাচে নেমে পড়তে পারবেন। যেহেতু সাতদিন করোনা আক্রান্তদের আইসোলেশনে থাকতে হয়। এটিকে মোহনবাগান শিবিরে সুখবর হল, সন্দেশ জিংঘান (Sandesh Jinghan) কোয়রেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে শনিবার দলের সাথে যোগ দিচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী নতুন কেউ দলের সঙ্গে যোগ দিতে হলে আটদিন কোয়রেন্টাইন পর্বের মধ্যে থাকা বাধ্যতামূলক। সন্দেশ সেই পর্ব কাটিয়ে ফেললেন। সুতরাং শনিবার যদি ম্যাচ হয় তাহলে সন্দেশের খেলতে কোনও সমস্যা নেই। যদি কোচ সন্দেশকে খেলাতে চান। সব মিলিয়ে ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগেও এটিকে মোহনবাগান–বেঙ্গালুরু ম্যাচ নিয়ে সেই ধোঁয়াশা থেকে গেল।
ঘটনা যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে মনে হয়না শেষমেশ আইএসএল (ISL) এবার যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হবে। অনেক দলের ফুটবলার করোনা সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন। ফলে তাঁদের চলে যেতে হচ্ছে দলের বাইরে। তাহলে প্রথম একাদশের একাধিক ফুটবলার যদি একটা দল থেকে বাদ পড়ে যায় তাহলে তারা খেলতে রাজি হবে কেন? ব্যাপারটা নজরে পড়ছে আইএসএলের। কিন্তু মুখে কলুপ এঁটে বসে আছে সকলে। কেউ কিছু বলতে চাইছে না। আসলে বলার মতো পরিস্থিতিও নয়। গতবার করোনার থাবা তেমন বসাতে পারেনি আইএসএল শিবিরে। কিন্তু এবার কোন পথ ধরে অদৃশ্য ভাইরাস ঢুকে পড়ল শিবিরে কেউ তা ধরতে পারছেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.