দুলাল দে: পর পর দুটো ম্যাচে হারের পর সমালোচকরা তাঁর দলকে যে স্তরে নামিয়ে এনেছেন, তাতে ভীষণভাবে আশাহত হয়েছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ হাবাস। শনিবার চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC) বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এতটাই বিরক্ত তিনি যে বলছেন, “প্রথম দুটো ম্যাচে আমরা যখন সাত গোল করেছি, তখন সবাই বলতে শুরু করল, আমরা নাকি ভারতের সেরা দল। আর শেষ দুটো ম্যাচে হারতেই আমরা সবচেয়ে জঘন্য দল হয়ে গেলাম! প্লিজ, আমাদের দলকে এভাবে মারাত্মক উচ্চতায় তুলতেও হবে না, আবার ফেলেও দিতে হবে না।”
মুম্বই সিটি এফসির (Mumbai City FC) কাছে ৫ গোলের পর শেষ ম্যাচে জামশেদপুরের কাছে হারতে হয়েছে. ১-২ গোলে। এটিকে মোহনবাগান পরপর দুটো ম্যাচ হারছে, এই দৃশ্য সবুজ-মেরুন সমর্থকদের জন্য সত্যিই অস্বস্তিকর। আর তাতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। ফলে শনিবারের ম্যাচের আগে রীতিমতো বিরক্ত হাবাস। ডার্বি জেতার পর যে দলটা আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল, সেই দলটাই কীভাবে এরকম মুষড়ে পড়ল? ফুটবলারদের তাতানোর জন্য হাবাস টিম মিটিংয়ে এদিন বলেন, “তোমারাই সেরা ফুটবলার। তোমরাই পারবে, এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে।”
শুধু কোচ নন। এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) ফুটবলাররাও চাইছেন, চেন্নাইয়িন ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে। কিন্তু পরপর দুটো ম্যাচে হারের জন্য কি ডিফেন্স কোনওরকম দুর্বল হয়ে পড়েছে? কিছুতেই মানতে পারলেন না হাবাস। ‘‘আমি বিশ্বাস করছি না। একটা ম্যাচ জেতার জন্য যেরকম সবার সহায়তা লাগে, সেরকম ম্যাচ হারলে সেটা শুধু ডিফেন্সের দোষ হতে পারে না। আমি সব সময় আক্রমণ-ডিফেন্সে একটা ব্যালান্স রাখার চেষ্টা করি।’’
এই চেন্নাইয়িনকেই কিছুদিন আগে আটকে দিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। এটিকে মোহনবাগান কোচ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের এই তথ্যটাকে গুরুত্বই দিলেন না। বললেন, “এসসি ইস্টবেঙ্গল, চেন্নাইয়িন এফসি আর এটিকে মোহনবাগান তিনটে আলাদা দল। একটা ম্যাচের সঙ্গে আরেকটা ম্যাচকে গুলিয়ে ফেললে হবে না। আমাদের সঙ্গে চেন্নাইয়িন ম্যাচটা সম্পূর্ণ আলাদা। এটা ঠিক, ওদের দলটা বেশ ভাল। তবে আমরা চেষ্টা করব, এই ম্যাচটা থেকেই ফের জেতার রাস্তায় ফিরে আসতে।’’
গত মরশুমে রয় কৃষ্ণ যেরকম ফর্মে ছিলেন… কথা শেষ করতে দিলেন না হাবাস। “গত মরশুম, গত মরশুম, প্লিজ। এটা তো গত মরশুম চলছে না। এটা এই মরশুম চলছে। তাহলে আমরা এই মরশুম নিয়েই কথা বলি।’’ কিন্তু এই মরশুমেও প্রথম দুটো ম্যাচে হুগো বুমোস এবং রয় কৃষ্ণর (Roy Krishna) মধ্যে যে বোঝাপড়া ছিল, শেষ দুটো ম্যাচে সেটা কিন্তু উধাও। হাবাস অবশ্য মানলেন না। বরং প্রতিবাদ করলেন। “আমার ধারণা, পুরোপুরি উলটো। আমি মানতে পারলাম না, রয় কৃষ্ণ কিংবা হুগো বুমোস খেলতে পারছে না। দুটো ম্যাচ হেরে যাওয়া মানেই সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। ফুটবলাররা দীর্ঘদিন বায়োবাবলের মধ্যে রয়েছে। ফলে সব সময় সব কিছু স্বাভাবিক নাও হতে পারে। আমরা ঠিকই ঘুরে দাঁড়াব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.