ফাইল ছবি।
ওড়িশা: ২ (মরিসিও, রেবেলো)
ইস্টবেঙ্গল: ১ (বিষ্ণু)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। কঠিন ম্যাচে আশার আলো দেখছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই ম্লান হয়ে গেল সেই আশা। লিগ টেবিলের ফার্স্ট বয় ওড়িশার কাছে ২-১ গোলে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। সেই সঙ্গে আরও জটিল হয়ে গেল ক্লেটনদের প্রথম ছয়ে শেষ করার অঙ্ক।
লড়াইটা সহজ ছিল না। ওড়িশা আইএসএলের (ISL 10) অন্যতম সেরা দল। তাঁদের বিরুদ্ধে কার্ড সমস্যার জন্য এদিন ডাগআউটে কার্লেস কুয়াদ্রাতকে পায়নি ইস্টবেঙ্গল। সেই সঙ্গে দলের সেরা ডিফেন্ডার হিজাজি মাহেরকেও এদিন নামাতে পারেনি লাল-হলুদ শিবির। চোটের জন্য আগের ম্যাচের নায়ক নন্দকে বাইরে রাখতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই ইস্টবেঙ্গলের কাছে লড়াইটা ছিল অসাধ্য সাধনের মতোই। তবে ম্যাচের শুরুতেই লাল-হলুদ শিবিরকে আশার আলো দেখান বিষ্ণু। ম্যাচ শুরুর বাঁশি পড়ার এক মিনিটের মধ্যে অবিশ্বাস্য গোল করে লাল-হলুদ শিবিরকে এগিয়ে দেন বিষ্ণু।
অপ্রত্যাশিত সেই অ্যাডভান্টেজ পাওয়ার পরই ইস্টবেঙ্গল, সেই ভুলটা করল যা আগেও একাধিক ম্যাচে ভুগিয়েছে কুয়াদ্রাতের ছেলেদের। আক্রমণ ভুলে পুরোপুরি খোলসে ঢুকে গেল গোটা দল। বলের দখল বেশিরভাগ চলে গেল ওড়িশা শিবিরে। আর ক্লেটনরা চেষ্টা করলেন প্রতিআক্রমণে ওড়িশাকে বিদ্ধ করার। কিন্তু সেই স্ট্র্যাটেজি কাজে এল না। ম্যাচের ৪০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে গেল ওড়িশা। এবারের আইএসএলে রেফারিং নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। ম্যাচ শেষে হয়তো এদিনের পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তবে পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করতে ভুল করেননি মরিসিও। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে ফেলে ওড়িশা। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে তারা। ফল মেলে ৬১ মিনিটে। এবার দুর্দান্ত গোল করে ওড়িশাকে এগিয়ে দেন রেবেল্লো। এর পর দুই শিবিরই দু’একটা আক্রমণ করেছে। কিন্তু গোলমুখ আর খোলা যায়নি।
এই জয়ের ফলে লিগ শীর্ষে আরও জাঁকিয়ে বসল ওড়িশা (Odisha FC)। আর ইস্টবেঙ্গল রয়ে গেল সেই অষ্টম স্থানেই। ১৭ ম্যাচে তাঁদের সংগ্রহ ১৮। প্রথম ছয়ে শেষ করতে হলে পরবর্তী সবকটি ম্যাচই কার্যত ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতি হবে লাল-হলুদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.