মোহনবাগান: ৩ (কামিন্স, পেত্রাতোস, মনবীর)
পাঞ্জাব এফসি: ১ (লুকা)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবাগত পাঞ্জাব এফসিকে (Punjab FC) কার্যত উড়িয়ে দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। আইএসএলের দশম সংস্করণেও যে সবুজ-মেরুন ঝড় উঠতে চলেছে, তার খানিকটা আভাস দিয়ে গেল শনিবারের যুবভারতী। সবুজ-মেরুনের হয়ে আইএসএলের (ISL) অভিষেকেই গোল করলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জ্যাসন কামিন্স। গোল পেলেন পেত্রাতোস এবং মনবীরও।
একটা দল গতবারের চ্যাম্পিয়ন। আরেকটা দল আইএসএলের প্রথম ম্যাচ খেলছে। দুই দলের মানে যে একটা বিস্তর ফারাক আছে, সেটা শনিবারের ম্যাচের একেবারে প্রথম মিনিট থেকে বোঝা গেল। একেবারে গোড়া থেকে গোটা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করল সবুজ-মেরুন শিবির। দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার আশিক কুরুনিয়ন এবং অনিরুদ্ধ থাপা যে এদিন খেলেননি, সেটা যেন বুঝতেই দিলেন না জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando)। ম্যাচের প্রথম গোলটি মোহনবাগান (Mohun Bagan) পেয়ে গেল দশম মিনিটেই। সাহালের পা থেকে বল পেয়ে সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকারের মতো নিখুঁতভাবে বল জালে জড়ালেন কামিন্স (Jason Cummins)। মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোলটি এল ৩৫ মিনিটে। এবারে দুর্দান্ত টিমগেমে গোল। কামিন্সের দুর্দান্ত পাস থেকে লিস্টনের পা হয়ে কার্যত ফাঁকা গোলের সামনে বল পেলেন পেত্রাতোস। এবং তিনিও গোল করতে ভুল করলেন না।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা অবশ্য খানিকটা অন্যরকম ছিল। মোহনবাগান ফুটবলারদের সম্ভবত টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি পেয়ে বসেছিল। সেই সুযোগে ম্যাচে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করে পাঞ্জাব। ৫৩ মিনিটে একটি গোল শোধও করেন পাঞ্জাবের লুকা। আরও একটি গোল তাদের অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। কিন্তু তারপরই শুভাশিসকে তুলে মনবীরকে নামিয়ে খেলা বদলে দেন সবুজ-মেরুন কোচ ফেরান্দো। নেমেই ৬৪ মিনিটে গোল করে ফেলেন মনবীর। ফের ব্যবধান হয়ে যায় দুগোলের। এর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাঞ্জাব।
মরশুমের প্রথম ম্যাচে সহজ জয় নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে সবুজ-মেরুন শিবিরকে। যেভাবে কামিন্স থেকে পেত্রাতোস, পেত্রাতোস থেকে মনবীর, সাহাল এবং লিস্টনরা নিজেদের মধ্যে পাস খেলছেন, তাতে আক্রমণভাগে মোহনবাগান যে এই মরশুমে আরও বিপজ্জনক হতে চলেছে, সেটা স্পষ্ট। তবে এদিন দলের রক্ষণভাগ কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখবে কোচ ফেরান্দোকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.