মোহনবাগান: ৪ (কোলাসো, কামিংস, দিমিত্রি পেত্রাতোস, সাহাল)
নর্থইস্ট ইউনাইটেড: ২ (জুরিচ ২)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হারের হ্যাটট্রিক থেকে জয়ের হ্যাটট্রিক। মাত্র ৫০ দিনের ব্যবধানে ধুঁকতে থাকা মোহনবাগানে যেন বসন্ত এসে গেল। এই ৫০ দিনের মাঝে বদলেছে শুধু একটা জিনিস, সবুজ-মেরুনের হেডস্যারের হটসিটে জুয়ান ফেরান্দোর জায়গায় বসেছেন অ্যান্তনিয় হাবাস। আর বাগানে প্রত্যাবর্তন করেই যেন ফুল ফোটানো শুরু করলেন স্প্যানিশ কোচ। প্রথমে দুর্বল হায়দরাবাদ, তারপর শক্তিশালী গোয়া এবং শনিবাসরীয় যুবভারতীতে নর্থ-ইস্ট বধ। গোলের ফুলঝুরির ম্যাচে সবুজ-মেরুন জিতল ৪-২ গোলে। মোহনবাগানে এখন যেন সত্যিই বসন্ত।
হাবাসের মোহনবাগান শনিবার যে পারফেক্ট ফুটবল খেলেছে তেমনটা নয়। মাঝে মাঝে ধাক্কা এসেছে, নর্থইস্ট ফুটবলারদের গতি বেগ দিয়েছে, বিশেষ করে হাইল্যান্ডারদের বিশ্বকাপার জুরিচ ভালোই বেগ দিয়েছেন। ম্যাচের শুরুতে একবার পিছিয়েও গিয়েছিল সবুজ-মেরুন। কিন্তু তাতেও বিন্দুমাত্র আত্মবিশ্বাস হারাননি সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। আসলে ফেরান্দোর আমলে শেষদিকে সাহাল, লিস্টনদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছিল, সেই হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছেন হাবাস। আর তাতেই ফুটছে গোটা মোহনবাগান দল।
এদিনই যেমন ম্যাচের একেবারে শুরুতে জুরিচের পেনাল্টি গোলে পিছিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। যদিও ওই পেনাল্টি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে। পিছিয়ে পড়ার পর খানিক চাপে ছিল মোহনবাগান। তবে সময় গড়াতেই ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে সবুজ-মেরুন শিবির। যদিও ওই গোল শোধ করতে প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত সময় লেগে যায়। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দুর্দান্ত গোল করে সমতা ফেরান লিস্টন। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই ফের গোল। এবারে গোলদাতা কামিন্স। কাউকোর দুর্দান্ত পাসের জোরে কার্যত ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন তিনি। প্রথমার্ধের শেষে মোহনবাগান এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার উলট পুরাণ। খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে জুরিচ ফের গোল করে নর্থইস্টের হয়ে সমতা ফেরান। গোল হজম করার পর যেন হিংস্র বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সবুজ মেরুন শিবির। কাউকো, কামিন্স এবং দিমির ত্রয়ীর সুবাদে আসে তৃতীয় গোল। দুর্দান্ত ফিনিশ করে নর্থইস্টের জালে বল জড়ান পেত্রাতোস। ম্যাচের বয়স তখন ৫৩ মিনিট। মিনিট চারেক বাদে ফের গোল। এবার কাউকোর ডিফেন্স চেরা পাস থেকে দুর্দান্ত গোল সাহালের। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ৪-২ গোলে। এর পরও গোলের সুযোগ এসেছিল। শেষ পর্যন্ত গোল করা যায়নি। তবে, এদিনের জয় বুঝিয়ে দিল এই মোহনবাগান আত্মবিশ্বাসী। পিছিয়ে পড়লেও ভেঙে পড়বে না। সেই সঙ্গে লিগ টেবিলে দু নম্বরে তুলে আনল সবুজ-মেরুনকে।
গোটা ম্যাচে আলাদা করে বলতে হয় জনি কাউকোর নাম। হুগো বুমোসকে বাদ দিয়ে যখন তাঁকে সই করালেন হাবাস, তখন হয়তো অনেকেই তাঁর ফিটনেস নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু কাউকো প্রতিদিন বুঝিয়ে দিচ্ছেন, কেন হাবাস তাঁকে ভরসা করেছেন। এদিন বাগানের চার গোলের তিনটির পাস বাড়িয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোটা মাঝমাঠে বাগানের চালিকাশক্তি যেন তিনিই। ৬৩ মিনিট মাঠে ছিলেন, আর তাতেই কাউকো এদিনের ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.