মোহনবাগান: ১ (দিমিত্রি)
এফসি গোয়া: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হয়তো দৃষ্টিনন্দন নয়। কিন্তু উপযোগী। যে ফুটবলের জন্য অ্যান্তনিও লোপেজ হাবাস ভারতীয় ফুটবল সার্কিটে পরিচিতি পেয়েছেন, তাঁর অধীনে সেই ধাঁচের ফুটবলই শুরু করল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। নিজের রক্ষণ আঁটসাঁট রেখে প্রতিপক্ষের ভুলের অপেক্ষা। আর সুযোগ পেলেই প্রতি আক্রমণে শত্রু শিবিরে আঘাত হানা। হাবাসের এই মন্ত্রেই গোয়ার বিরুদ্ধে বাজিমাত করল সবুজ-মেরুন শিবির।
অথচ ম্যাচের শুরুর দিকে মনে হয়েছিল গোয়ার (FC Goa) বিরুদ্ধে বেশ বেগ পেতে হবে। বিশেষ করে প্রথম কয়েক মিনিটে গোয়া যেভাবে আক্রমণের ফুলঝুরি ছোটাল, সেটা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল সবুজ-মেরুন রক্ষণকে। প্রথম দশ মিনিটেই একটি বল বারপোস্টে লাগালেন গোয়ার স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধে একটি গোল বিতর্কিতভাবে বাতিলও হয়েছিল। ওডেইয়ের সেই গোল কেন বাতিল হল, সে প্রশ্ন হয়তো তুলতে চাইবেন গোয়ার সমর্থকরা। সব মিলিয়ে প্রথমার্ধে বেশ চাপেই ছিল সবুজ-মেরুন শিবির।
কিন্তু ম্যাচের বয়স ঘণ্টাখানেক হতেই ছক বদলে ফেলেন হাবাস। কার্যত ‘নিষ্ক্রিয়’ সাদিকুকে তুলে নিয়ে নামিয়ে দেন লিস্টনকে (Liston Colaco)। পেত্রাতোসকে সামনে রেখে খেলা শুরু করে মোহনবাগান। লিস্টন আর দিমিত্রির সেই গতিই বদলে দেয় খেলার গতিপ্রকৃতি। ক্লান্ত গোয়া রক্ষণকে শেষ ২০ মিনিটে নাজেহাল করে ছাড়ে মোহনবাগান। পুরস্কার মেলে খেলার ৭৪ মিনিটে। দিমিত্রির দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। সেটাই শেষপর্যন্ত ম্যাচের জয়সূচক গোলে পরিণত হল।
আইএসএলের শীর্ষস্থান দখলের লড়াইয়ে টিকে থাকতে আজকের ম্যাচ জেতা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল মোহনবাগানের জন্য। সেকেন্ড বয়কে হারিয়ে লিগ টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এল সবুজ-মেরুন শিবির। ১৩ ম্যাচে মোহনবাগানের সংগ্রহ ২৬ পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে গোয়া দু’নম্বরে। ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ওড়িশা এফসি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.