ইস্টবেঙ্গল: ১ (ক্লেটন)
হায়দরাবাদ: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয় এল। সেই সঙ্গে স্বস্তি ফিরল ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal)। দলে ফিরে গোল করলেন ক্লেটন। হয়তো নিখুঁত ফুটবল খেলতে পারলেন না হিজাজিরা। হয়তো কার্লেসের গোল পার্থক্য বাড়ানোর স্বপ্ন পূরণ হল না। তবে দিনের শেষে জয়টা জয়ই। ৩ পয়েন্ট পাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন কার্লেস কুয়াদ্রাত।
আসলে সুপার কাপ (Super Cup) এবং ডুরান্ডে ভালো খেললেও চলতি আইএসএলে জয় দুস্প্রাপ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের জন্য। এদিকে শেষ পর্যন্ত লিগ টেবিলের প্রথম ছয়ে শেষ করার জন্য এই ম্যাচ ৩ পয়েন্ট পেতেই হত। এমনিতে হায়দরাবাদ আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত দল। অধিকাংশ সিনিয়র ফুটবলার দল ছেড়েছেন। বিদেশি মাত্র একজন। সেই দলের বিরুদ্ধে গোলপার্থক্যেও নজর ছিল লাল-হলুদের হেডস্যরের। কিন্তু গোলপার্থক্যের ক্ষেত্রে এদিন বিশেষ সুবিধা হল না। আসলে জয়টাই এল অনেক কষ্টে।
এদিন ম্যাচের শুরুটা ভালোই করে লাল-হলুদ। গোল তোলার উদ্দেশে একসঙ্গে ক্লেটন এবং ফেলিসিওকে নামিয়ে দেন কুয়াদ্রাত। তাঁদের মধ্যে ভালো সমন্বয়ও দেখা গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল গোলটিও পেয়ে যায় ১১ মিনিটে। বাঁদিক থেকে ভেসে আসা ক্রসে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন ক্লেটন। আগের ম্যাচে কার্ড সমস্যায় তাঁর না থাকাটা যে ইস্টবেঙ্গলকে কতটা ভুগিয়েছে তা এদিন বোঝা গেল। ক্লেটন ভালো বল হোল্ড করছিলেন। সতীর্থদের নিয়ে খেলা তৈরির চেষ্টাও করছিলেন। কিন্তু ফাইনাল থার্ডের ব্যর্থতার জন্য গোলটা আসছিল না।
ক্লেটনই আবার ম্যাচের ৪১ মিনিটে সহজ সুযোগ মিস না করলে হয়তো গোলের ব্যবধান বাড়তে পারত। আবার ম্যাচের একেবারে শেষদিকে এসে হায়দরাবাদের মার্ক ফাঁকা গোলের সামনে হেডার বারে না লাগালে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। এই ধরনের বহু সম্ভাবনাই তৈরি হয়েছিল। আসলে গোটা ম্যাচটাই হয়েছে প্রায় সমানে সমানে। হায়দরাবাদকে (Hydrabad FC) ছাপিয়ে যেতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। জিতলেও দিনের শেষে সেটা ভাবাবে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্টকে। তবে জয়ের ফলে লিগ টেবিলে ৮ নম্বরে উঠে এল লাল-হলুদ শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.