সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ময়দানি নাম ছিল কালো হরিণ। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল, দুই প্রধানের জার্সিতে বহু স্মরণীয় গোল রয়েছে তাঁর। বুটজোড়াকে তুলে রেখে ফুটবলকে আলবিদা জানিয়েছিলেন সেই ২০০৩ সালে। আর অবসরের ১৭ বছর পর তাঁর কথা মনে পড়ল ফেডারেশনের। এতদিন পর পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য আই এম বিজয়নের (IM Vijayan) নাম সুপারিশ করতে চলেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)। ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে বিজয়নের নাম প্রস্তাব করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
অবসরের বছরেই অর্জুন সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন কালো হরিণ। তিনবার ফেডারেশনের বিচারে দেশের বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন। দেশের সেরা ফুটবল প্রতিভার অন্যতম এই বিজয়ন ভারতের হয়ে খেলেন ৭৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মাঠ কাঁপানো এই কেরলের ফুটবলার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ৪০টি গোল করেছেন। কিন্তু যোগ্য সম্মান খুব কমই পেয়েছেন জীবনে। বাইচুং ভুটিয়ার (Bhaichung Bhutia) সঙ্গে জুটিতে ভারতের হয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স আছে বিজয়নের। অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স ১৯৯৯ সালে সাফ কাপে। ভুটানের বিরুদ্ধে খেলা শুরুর মাত্র ১২ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করেন তিনি। তা আজও আন্তর্জাতিক ম্যাচে দ্রুততম গোলগুলির তালিকায় রয়েছে। ২০০৩ সালে ভারতে আফ্রো-এশিয়াল গেমসে সর্বাধিক ৪টি গোল করেন তিনি। সেই বছরই অবসর নেন বিজয়ন।
পেশাদার ফুটবলে প্রথমে কেরল পুলিশের হয়ে খেলা শুরু করলেও তাঁর স্মরণীয় সব পারফরম্যান্স রয়েছে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে। বহু ম্যাচ খেলেছেন দুই প্রধানের হয়ে। দুই ক্লাবেরই নয়নের মণি ছিলেন বিজয়ন। ফুটবল থেকে অবসরের পর মালয়ালম-সহ দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় শুরু করেন বিজয়ন। ২০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর অভিনীত মালয়ালম ছবি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে। দেশের হয়ে এত ভাল খেলেও যোগ্য সম্মান থেকে ব্রাত্যই ছিলেন ৫১ বছরের এই প্রাক্তন জাতীয় অধিনায়ক। অবসরের ১৭ বছর পর তাঁর কথা মনে পড়ায় ফেডারেশনের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধই হয়েছেন বহু প্রাক্তন ফুটবলার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.