ইরাক–২ (৫) ভারত–২ (৪)
(করিম-পেনাল্টি,ঘাধবান-পেনাল্টি) (মহেশ, হাসান আত্মঘাতী)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্দান্ত লড়ে ইরাকের (Iraq) কাছে কিংস কাপে হার মানল ইগর স্টিমাচের ভারত (India)। ৯০ মিনিটে দু’ বার এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু দু’বারই পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরায় ইরাক। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শুট আউটে হার মানতে হল ভারতকে।
প্রশ্ন উঠল, রেফারির ভুল সিদ্ধান্তেই কি ভারতকে হার মানতে হল কিংস কাপের সেমিফাইনালে? হয়তো তাই। ইরাক দু’ বার সমতা ফেরায় পেনাল্টি থেকে। দ্বিতীয় পেনাল্টিটা কি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল? আপাত দৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছে সন্দেশের সঙ্গে ঘাধবানের কোনও শারীরিক সংঘর্ষই হয়নি। রেফারি কেন পেনাল্টি দিলেন ইরাককে, তা তিনিই বলতে পারবেন। বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে ৮০ মিনিটে গোল করে ইরাক ভেসে থাকে ম্যাচে। ম্যাচ হয়ে যায় ২-২। টাইব্রেকারে ভারতের প্রথম শটটি নষ্ট করেন ব্র্যান্ডন। স্টিমাচের ছেলেদের পক্ষে ম্যাচ জেতা আর সম্ভব হয়নি। গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সাধুও পেনাল্টি শুট আউটে ইরাকের একটি শটও বাঁচাতে পারেননি।
ম্যাচ হেরে গেলেও ভারত কিন্তু মোটেও হারার মতো খেলেনি। র্যাঙ্কিংয়ে বিস্তর পার্থক্য ভারত ও ইরাকের। কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ের এই পার্থক্য দূর করে প্রাণপণ লড়ল ইগর স্টিমাচের দল। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাসে খেলা তৈরি করল ভারত। দুর্দান্ত কিছু উইং প্লে হল। বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে ইরাকের কাছ থেকে কেড়েও নিল ভারত। কিন্তু ২-১ গোলে যখন এগিয়ে ভারত এবং ম্যাচের বয়স ৬৬ মিনিট, তখনই স্টিমাচ কেন যে রক্ষণাত্মক হয়ে গেলেন তা বোঝা গেল না। কথায় বলে, অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। অতিরিক্ত সতর্ক হতে গিয়ে ভারতের আগ্রাসী ফুটবলটাই হারিয়ে গেল।
শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ভারতই। দুর্দান্ত উইং প্লের মাধ্যমে গোলটি করেন মহেশ। বাঁ দিক থেকে সাহালের দৃষ্টিনন্দন পায়ের কাজ ইরাকের বক্সে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়। সাহালের কাছ থেকে বল পেয়েই মহেশ গোল করেন। তাঁর গড়ানে শট ধরতে পারেননি ইরাকের গোলকিপার। খেলার বয়স তখন ১৬ মিনিট।
ইরাক সমতা ফেরায় পেনাল্টি থেকে। ভারতের পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে গোল লক্ষ্য করে নেওয়া শট সন্দেশের হাতে লাগলে রেফারি পেনাল্টি দেন। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান করিম। বিরতির পরে আবার ভারত গোল করে এগিয়ে যায়। ডান দিক থেকে দুর্দান্ত উইং প্লে হয় এক্ষেত্রেও। পিছন থেকে উঠে আসা আকাশ মিশ্রর শট ধরতেই পারলেন না ইরাকের গোলকিপার। তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। গোল হজম করার পরে মরিয়া হয়ে ওঠে ইরাক। ৮০ মিনিটে বিতর্কিত সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান ঘাধবান। অতিরিক্ত সময়ে ইকবাল লাল কার্ড দেখেন। দশ জনে নেমে যায় ইরাক। তার সদ্ব্যবহার করতে পারেনি ভারত।
বৃহস্পতিবারের কিংস কাপ সেমিফাইনালের আগে ভারত ছ’টি ম্যাচ খেলেছিল ইরাকের বিরুদ্ধে। একটি ম্যাচ ড্র হয়। বাকি পাঁচটিতেই হার মানে ভারত। সেই ইতিহাস বদলে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল স্টিমাচের কাছে। কিন্তু তার সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না সাহালরা। ফলে সাতটি ম্যাচের মধ্যে ছ’টিতেই জিতল ইরাক। ইতিহাসের অভিমুখ আর বদলাল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.