নিজস্ব ছবি
দুলাল দে: ম্যাচের হাফটাইমে ভিভিআইপি বক্সে বসা ইগর স্টিমাচের (Igor Stimac) মুখে তখন যেন আত্মতৃপ্তির হাসি। অবশ্য হবে নাই বা কেন। ডার্বিতে কোন ক্লাবের কী অবস্থা হতে পারে, সেই ভবিষ্যদ্বাণী তো বহু আগেই করেছিলেন তিনি। তাই রবিবাসরীয় রাতে যখন প্রশ্ন করা হল, কেমন দেখছেন। সরসারিই জবাব দিলেন স্টিমাচ, “আমি তো আগেই বলেছি এমন পরিস্থিতি হবে!”
হাবাস আসার পর মোহনবাগান (Mohun Bagan) যে বদলে গিয়েছে, তা আগেই ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন স্টিমাচ। সেসময় হাবাস জানিয়েছিলেন, হাবাসের আমলে মাঠে ফুটবলারদের দেখলেই তফাতটা স্পষ্ট হয়ে যায়। ফেরান্দোর আমলে ফুটবলাররা খেলার জন্য খেলত। এখন জয়ের অদম্য খিদে রয়েছে ফুটবলারদের মধ্যে। প্রথমার্ধেই মোহনবাগানের ৩-০ এগিয়ে যাওয়াটা যেন প্রতিষ্ঠা করল জাতীয় কোচের সেই বক্তব্যকে।
প্রথমার্ধেই তিন গোল খেলেও ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) প্রত্যাবর্তনের আশা শেষ হয়ে যায়নি বলেও মনে করছিলেন স্টিমাচ। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসাবে মাস দু’য়েক আগে এশিয়ান কাপে ভারত বনাম উজবেকিস্তান ম্যাচের প্রসঙ্গ উল্লেখ করলেন টিম ইন্ডিয়ার হেডস্যর। সেদিনও এভাবেই প্রথমার্ধ শেষে ০-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল ভারত। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও গোল খায়নি স্টিমাচের দল। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বললেন, “এশিয়ান কাপে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরাও প্রথমার্ধে ৩ গোলে পিছিয়ে পড়ি। কিন্তু তার পর দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ঘুরে দাঁড়াই। কিন্তু সেই মানসিকতার বদলটা আনতে হবে কোচকেই। সেদিন ড্রেসিংরুমে ফিরে আমি ফুটবলারদের উপর ফেটে পড়েছিলাম। ওদের সাহস দিয়েছিলাম, উদ্বুদ্ধ করেছিলাম। এমন পরিস্থিতি থেকে বের করার দায়িত্বটা একেবারেই কোচের। তাকেই দেখতে হবে তিন গোল খাওয়ার ধাক্কায় ফুটবলারদের কাঁধ যাতে ঝুলে না যায়।”
তবে চলতি মরশুমের পারফরম্যান্স থেকে ইস্টবেঙ্গলের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছেন স্টিমাচ। জাতীয় কোচের বিশ্লেষণ, “এখন মরশুম প্রায় শেষের দিকে। এখন আর ভুলত্রুটি শোধরানোর মতো সময় নেই। ইস্টবেঙ্গলকে এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজতে হবে। এবারের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে পরের বার এসব ভুলত্রুটি শুধরে নিতে হবে।” এর আগে অবশ্য সাক্ষাৎকারে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে রীতিমতো কটাক্ষই করেছিলেন স্টিমাচ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.