স্টাফ রিপোর্টার: নেরোকার বিরুদ্ধে খেলার জন্য বুধবার সকালে মোহনবাগান ফুটবলাররা যখন কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলেন, সেই সময় অন্য কোথাও যাচ্ছিলেন এটিকে কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও। মোহনবাগান ফুটবলারদের দেখে বিমানবন্দরে প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানান এটিকে কর্ণধার। বলেন, ম্যাচটা জিতে ফিরতে হবে। ইতিহাস বলছে, ডার্বির পরের ম্যাচটা ভীষণই কঠিন দুই প্রধানের জন্য। সেটা ডার্বি জিতলেও কঠিন। না জিতলেও কঠিন। ডার্বি ঘিরে যেহেতু যাবতীয় উদ্যম নিংড়ে দিতে হয়, তাই পরের ম্যাচে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ডার্বি জেতার ঠিক পরেই সেই কারণে ফুটবলারদের পইপই করে ডার্বি ঘিরে দুই প্রধানের ইতিহাস মনে করিয়ে দেন অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। যে কথাগুলি এদিন ফের ইম্ফল পৌঁছে ফুটবলারদের বলেন কোচ কিবু ভিকুনা।
অন্যান্য ম্যাচ খেলতে দু’দিন আগেই ভেন্যুতে পৌঁছে গেলেও নেরোকার বিরুদ্ধে একদিন আগে ইম্ফল গেল মোহনবাগান। কলকাতা থেকে যেহেতু মাত্র ঘণ্টা খানেকের বিমান যাত্রা, তাই ম্যাচের আগেরদিন ইম্ফল যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিবু ভিকুনা। ফুটবলারদের নিয়ে ভিকুনা যখন ইম্ফল পৌঁছলেন, তখন ১২টা বেজে গিয়েছে। লাঞ্চের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম করেই ফুটবলারদের নিয়ে মূল স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করতে ছুটলেন ভিকুনা। বৃহস্পতিবার নেরোকার বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরু দুপুর ২টোয়। যদিও দিনের বেলায় সেরকম ঠান্ডা নেই। তবে রাতে মারাত্মক ঠান্ডা। কাশ্মীরের ঠান্ডায় ম্যাচ খেলে ফেলার পর কোনও প্রতিকূল অবস্থাকেই আর প্রতিপক্ষ হিসাবে দেখছেন না মোহনবাগান ফুটবলাররা। এদিন মূল স্টেডিয়ামে বেইতিয়াদের নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক প্র্যাকটিস করানোর পর ভিকুনা বলেন, “ফুটবলারদের বলেছি, ডার্বিতে কি হয়েছে, সব ভুলে যেতে। বৃহস্পতিবার নেরোকার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই। এই ম্যাচটা থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতেই হবে।’’
যেহেতু ডার্বি জয়ের পরই ম্যাচ খেলতে নামছেন, তাই তিনি ডার্বি প্রসঙ্গ ভুলে যেতে চাইলেও স্বাভাবিক ভাবেই ডার্বি প্রসঙ্গ চলে আসছে। ভিকুনা বললেন, “সবে ৪০ শতাংশ ম্যাচ খেলেছি। এখনও ৫০-৬০ শতাংশ ম্যাচ খেলা বাকি রয়েছে। তাই একটা ডার্বি জয় নিয়ে এখনই লাফালাফি করার কিছু হয়নি। লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে।” মোহনবাগানের জন্য নেরোকা অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও দলের দুই ফুটবলার নাওরেম এবং ধনচন্দ্র সিংয়ের জন্য নেরোকা ম্যাচটা হোম ম্যাচের মতোই। দু’জনেই যে মণিপুরের স্থানীয় ফুটবলার।
এদিন নাওরেমের ভূয়সী প্রশংসা করেন মোহনবাগান কোচ। সেরকম ডার্বির জয় সূচক গোলদাতা বাবা প্রসঙ্গে বলেন, “এই মুহূর্তে আই লিগের এক নম্বর স্ট্রাইকারের নাম বাবা। সবে আমাদের দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এখনও সব ফুটবলারকে ভালভাবে জানে না। ভারতীয় ফুটবলটাও এখনও ভালভাবে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। ওকে কিছুদিন সময় দিন। দেখবেন, ভারতীয় ফুটবলে ও কী করে। ডার্বির মতো কঠিন ম্যাচে কী অসাধারণ গোলটা করেছে। আই লিগে এই মুহূর্তে যে স্ট্রাইকাররা খেলছে, ওর সিভির ধারেকাছে কেউ নেই। তবুও বলব, দিনের শেষে কোনও একজন ফুটবলার নয়। কোনও প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দল। আমরা তাই নেরোকার বিরুদ্ধে দল হিসাবে খেলতে চাই।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.