স্টাফ রিপোর্টার: শুক্রবার আইজল ম্যাচের আগেই বেশ ভাল খবর ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। আইজল ম্যাচটাই শেষ। এরপর এই মরশুমে আর কোনও ম্যাচই কল্যাণীতে খেলবে না লাল-হলুদ বাহিনী। ডার্বি-সহ কোলাডোরা সব ম্যাচই খেলবে যুবভারতীতে। যার অর্থ, আগামী বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব এফসি ম্যাচ থেকেই যুবভারতীতে খেলা শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল (Quess East Bengal)।
আইজলকে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা লিগ টেবিলে ভাল জায়গায় আসতে পারবেন কি না সময়ই বলবে। কিন্তু তার আগে লাল-হলুদ কর্তারা অবশ্যই বুদ্ধি করে ম্যাচটা বার করে নিলেন। কোয়েস এফসি ইস্টবেঙ্গল নয়, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে রাজ্য ক্রীড়া দপ্তরের কাছে যুবভারতীতে ম্যাচ আয়োজনের আবেদন জানানো হয়। আর তাতেই এক ধাক্কায় স্টেডিয়াম ভাড়া ১৫ লক্ষ টাকা থেকে কমে ১৫ হাজারে। তাই সব ম্যাচ ফিরে এল যুবভারতীতে। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা চেষ্টা করছেন, শুক্রবার আইজল ম্যাচটা জিতে যুবভারতীতে বাকি ম্যাচগুলোতে নতুনভাবে শুরু করতে।
ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে তিনি কোচের চেয়ারে ছিলেন। কিন্তু নামেই তিনি কোচ ছিলেন। এক মরশুম পরে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের কোচের চেয়ারে সামনে বসে দেখলেন। ফলে এই প্রথম দিনে কোচের চেয়ারে বসেই মারিও যাবতীয় পরিবর্তন করে দেবেন, এমনটা ভাবাই অন্যায়। সেক্ষেত্রে কোচ হিসেবে মারিওর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হচ্ছে আইজল ম্যাচ থেকে। যে ম্যাচে স্ট্র্যাটেজিতে বেশ কিছু পরিবর্তন করতে চলেছেন নতুন কোচ। তবে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ ম্যাচকে মারিও এখনও বলছেন, দুর্ঘটনার ম্যাচ। বলছেন, “সেদিনের ম্যাচটি দুর্ঘটনা ছাড়া আর কী বলব। বেশিরভাগ সময় তো আমরাই খেললাম। এরপর দশবার খেললে আমরা ন’বার জিতব। সেই কারণেই বলছি, ইন্ডিয়ান অ্যারোজ ম্যাচটা ছিল আমাদের কাছে দুর্ঘটনা। তবে আইজল ম্যাচে আর এরকম হবে না। এই ম্যাচটা থেকেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব। আশা করছি, সেদিনের থেকে আইজল ম্যাচে অন্যরকম ইস্টবেঙ্গলকে দেখা যাবে। এই ক’দিন প্র্যাকটিসে দলটাকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
প্রতিদিন গোলের সুযোগ এসেও গোল হচ্ছে না। কোনওদিন মার্কোস মিস করছেন। কোনওদিন ক্রোমা। মারিও অবশ্য এই তথ্যকে পাত্তাই দিলেন না। বললেন, “যদি গোলের সুযোগ তৈরি হয়, তাহলে এর থেকে কিছু ভাল হতেই পারে না। গোলের সুযোগ যখন তৈরি হচ্ছে, তথন গোলও আসবে।”
অ্যারোজ ম্যাচে লাল কার্ড দেখার জন্য আইজল ম্যাচে খেলতে পারবেন না মার্কোস। ফলে শুক্রবার ম্যাচে শুরু থেকে খেলতে পারবেন ক্রোমা। অর্থাৎ দলে একটা পরিবর্তন তো আসছেই। আর ক্রোমা নিজেও চাইছেন গোল করে আই লিগে নিজের জায়গা পাকা করতে। কিন্তু ক্রেসপি মার্টি আর মার্কোসের ভবিষ্যৎ কী? মারিও বললেন, “ওরা সবাই পেশাদার ফুটবলার। জানে এই সময় কী করতে হবে। তবুও ওদের দু’জনকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছি।” মার্কোস এবং মার্টির পারফরম্যান্স নিয়ে খুব খুশি না হলেও নতুন কোনও ফুটবলারের নামও বলতে পারেননি তিনি। বললেন, “যে কোনও ফুটবলারকে নিলেই তো হল না। দেখতে হবে, যে ফুটবলার ফ্রি রয়েছে, সে আমার দলের জন্য ভাল হবে কি না।”
দলের ডিফেন্সের ব্যর্থতা ঢাকতে নিয়ে আসা হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া গুরবিন্দর সিংকে। তবে ক্লাবের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গুরবিন্দরকে ট্রায়ালে ডাকা হয়েছে। পারফরম্যান্স দেখিয়ে মারিওকে সন্তুষ্ট করতে পারলে, তবেই নেওয়া হবে তাঁকে। তিনি কলকাতায় আসছেন শনিবার। এদিকে, বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিসে আবার হালকা চোট পেলেন জুয়ান মোরা। যদিও টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, চোট সেরকম নয়। আইজল ম্যাচ খেলতে কোনও অসুবিধা হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.