Advertisement
Advertisement

Breaking News

ডুডু ম্যাজিকে যুবভারতীতে ফের জ্বলল মশাল, চেন্নাইকে গোলের মালা ইস্টবেঙ্গলের

ডুডুর চার গোলে পুড়ে ছারখার চেন্নাই।

I League: East Bengal beats Chennai city FC
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 24, 2018 4:01 pm
  • Updated:September 16, 2019 4:09 pm  

ইস্টবেঙ্গল: ৭ (আমনা, রাবণন-আত্মঘাতী, ডুডু-৪, গ্যাব্রিয়েল)
চেন্নাই সিটি: ১ (থাঙ্গালাকাথ)

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই হয়তো বলে জয়ের খিদে। এই ইস্টবেঙ্গলের চেহারা ক্ষুদার্থ সিংহের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। খেতাব জয়ের দৌড়ে নেমে এমন প্রদর্শনই তো প্রত্যাশিত। কিন্তু ডুডুর পারফরম্যান্স যেন প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে গেল। তাঁর চার গোলের সৌজন্যে ফের জমজমাট আই লিগ। ১৪ বছরের খরা কাটিয়ে প্রিয় দলকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখার স্বপ্নে বুঁদ লাল-হলুদ সমর্থকরা।

Advertisement

[ক্যাপ্টেন কোহলিকে ছাড়াই ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত!]

ম্যাচ দেখতে দেখতে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। হওয়ারই কথা। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে সেই বিধ্বংসী জার্মানদের মতোই এদিন যুবভারতীতে ঝড় তুললেন ডুডু-আমনারা। আক্রমণ থেকে শুরু করে খেলার স্কোর, সবই এক। বেলো হরাইজন্তের স্বদেশি ভার্সন হয়ে রইল শনিবারের যুবভারতী। চেন্নাই সিটির বিরুদ্ধে ডু অর ডাই ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গল ভাগ্যলিখন হওয়ার কথা ছিল। ক্লাবের এক প্রাক্তনীই বদলে দিলেন ভাগ্য। সাসপেন্সে ভরা রুদ্ধশ্বাস ছবির হ্যাপি এন্ডিং হল। যে ছবির সর্বেসর্বা ডুডু ওমাগবেমি। চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়, চলতি আই লিগে এটাই ইস্টবেঙ্গলের সেরা পারফরম্যান্স। ১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এল লাল-হলুদ শিবির।

[মার্চের মধ্যেই নতুন রূপে ইডেনের ক্লাব হাউস, কাজের তদারকিতে সৌরভ]

মাঠে নামার আগেই কোচ খালিদ জামিলের স্ট্র্যাটেজি ছিল প্রথম থেকেই আক্রমণে যাওয়ার। কারণ গত ম্যাচে গোকুলামের কাছে মুথ থুবড়ে পড়ার পর এ ম্যাচে তিন পয়েন্ট ছাড়া কিছুই ভাবছিল না দল। সেদিনই একপ্রকার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। তবে মিনার্ভাও কেরলের দলের কাছে হার মানায় নতুন করে ছক কষতে শুরু করেছিলেন কোচ-সহকারীরা। তাছাড়া অবনমনের মুখে পড়া চেন্নাইকে ঘরের মাঠে কোনওভাবেই ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিতে নারাজ ছিলেন আমনা-গ্যাব্রিয়েলরা। কোচের স্ট্র্যাটেজি মেনেই শুরু থেকে আক্রমণ শানায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে আমনা ও ডুডুর গোলে লাল-হলুদ শিবির তো এগিয়ে গিয়েছিলই, তার উপর উপড়ি পাওনা হিসেবে এল রাবণনের আত্মঘাতী গোল। আর দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিক করে এদিন দলে ফের নিজের জায়গাটা পাকা করে রাখলেন ডুডু। বিপক্ষের ডিফেন্সকে বারবার বোকা বানালো তাঁর শট। আরও কিছু সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলে আরও বড় ব্যবধানে জিততেই পারত তাঁরা। শুধু তিন পয়েন্টই না। এই ম্যাচের ফলে গোল পার্থক্যেও অনেকখানি এগিয়ে গেল খালিদ জামিলের দল। সমর্থকরা যখন হারের হতাশায় লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সেখানে এমন ব্যবধানে জয় তাঁদের ক্ষোভের আগুনে জল ঢালবে বলেই আশা কোচের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement