শংকরলাল চক্রবর্তী: চারিদিকে হইচই। কেউ কেউ বলছেন, জিতেই গিয়েছে মোহনবাগান। মানছি না। পাঁচ বছর সবুজ-মেরুন শিবিরে কাটিয়েছি। জানি এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে ইস্টবেঙ্গল কতটা ভয়ংকর হয়। মরিয়া হয়ে উঠে। সকলের মতো আমিও মানছি, অঙ্কের বিচারে মোহনবাগান এগিয়ে। মন্দ খেলছে না। তাই চাপ মোহনবাগানের উপর। আন্ডারডগরা সবসময় ভয়ংকর হয়। তাই কেউ যদি ভেবে থাকেন, তুড়ি মেরে ইস্টবেঙ্গলকে উড়িয়ে দেবে মোহনবাগান তাহলে মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন।
কেন ইস্টবেঙ্গলকে গুরুত্ব দিচ্ছি জানেন? দু’টো কারণে। এক, সামাদ-পিন্টু জুটি ভয়ংকর। দুই, সেট পিস। সামাদ-পিন্টুকে যদি খেলান আলেজান্দ্রো তাহলে মোহনবাগানের কপালে দুঃখ আছে। ডান দিক থেকে এই দু’জন ভাল উঠছে। ওভারল্যাপে উঠে যাওয়ার প্রবণতা বেশ ভাল সামাদের। তাই প্রতিপক্ষ শিবিরে গিয়ে ত্রাসের কারণ হয়ে উঠে। মোহনবাগানের দুর্বলতা হল বাঁদিক। বিশেষ করে ধনচন্দ্র-ড্যানিয়েল। এই দু’জনকে বিপাকে ফেলতে পারলে হাসতেই পারে ইস্টবেঙ্গল। আর একটা বড় ফ্যাক্টর সেট পিস। গতবার ডিকা প্রায় ৭০ শতাংশ ম্যাচ জিতিয়েছিল সেট-পিস থেকে। শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ৩-১ গোলে হেরেছে ঠিকই। একটা গোল এসেছে সেই সেট-পিস থেকে। তাই বলতে দ্বিধা নেই, সেট পিস যদি ক্লিক করে যায় তাহলে আলেজান্দ্রোর মুখে হাসি ফুটতে বাধ্য।
তাই বলে মোহনবাগান কি পিছিয়ে থেকে শুরু করবে? তা বলছি না। মোহনবাগানের আসল সম্পদ কোথায় জানেন? সাহিল, গঞ্জালেজ-বেইতিয়া। এই ত্রয়ী প্রতিপক্ষ শিবিরে ঘুম ছুটিয়ে দিচ্ছে। বাকিটা কিন্তু বিশেষ ভাল বলব না। তবে এটাও ঠিক, দু’দলের স্ট্রাইকিং ফোর্স গোল এনে দেবে তা ভাববেন না। দুই শিবির এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। তবে যে দলের মাঝমাঠ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে তারাই শেষ হাসি হেসে মাঠ ছাড়বে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.