স্টাফ রিপোর্টার: মার্টিকে ছাড়ার কথা সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই বেঙ্গালুরু এফসির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার, যিনি আবার স্টপারেও খেলতে পারেন, সেই ভিক্টর পেরেজকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল (Quess East Bengal)। আই লিগে এই প্রথম কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসির কোচ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে বসে। ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করার জন্য সাজানো ঘর থাকলেও আলেজান্দ্রোর ইচ্ছায় এতদিন সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে এসেছে রাজারহাটের হোটেলে। কিন্তু ক্লাব কর্তারা ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করার ইচ্ছে প্রকাশ করতেই পাঞ্জাব এফসি ম্যাচের আগে ক্লাবে চলে এলেন কোচ মারিও।
আলেজান্দ্রো কোচ থাকাকালীন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতে যে সমর্থকরা দিনে-রাতে দলের পাশে থাকার অঙ্গীকার করতেন, অদ্ভুত এক অজানা কারণে, তাঁরাও আর দলের পাশে নেই। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কোয়েস কর্তারা যখন তথ্য দিচ্ছিলেন, বৃহস্পতিবারের পাঞ্জাব (Punjab F.C.) ম্যাচে টিকিট বিক্রি হয়েছে মাত্র দশটি, স্বাভাবিকভাবেই তখন প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সমর্থন কি শুধুই সোশ্যাল সাইটে? দলের বিপদের সময়ে গ্যালারিতে থেকে উৎসাহ দেওয়ার দরকার নেই? এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে পাঞ্জাব এফসির কোচ জর্জ টেলিগ্রাফের প্রাক্তন ফুটবলার ইয়ান ল’ এই তথ্য জেনে উল্টে লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে আবেদন করলেন মাঠে আসার জন্য! বিপক্ষ দলের কোচ লাল-হলুদ সমর্থকদের মাঠে আসতে বলছেন, এই দৃশ্যই বা কবে দেখা গিয়ছে স্পর্ধার ইস্টবেঙ্গলে? যা দেখে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “শতবর্ষের সেরা ভুলটা অনেক আগেই আমরা করে ফেলেছি। আর যাতে এরকম ভুল না হয়, তারজন্য বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেব। আর তাড়াহুড়ো করব না। তবে যা ঘটছে, তা নিশ্চয়ই ক্লাবের জন্য ভাল নয়।”
বুধবার সকালে ফের প্র্যাকটিসে হাজির হোন কালো তালিকায় চলে যাওয়া মার্টি। জোর করে প্র্যাকটিসে নামতে চাইলে এদিন ফের বারণ করেন কোচ মারিও। তখন উপায় না দেখে মাঠের বাইরে নিজের মতো করে হাঁটাহাঁটি করেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডারটি। অবশেষে দুপুরের দিকে মার্টির সঙ্গে কর্তারা ফের আলোচনায় বসে তাঁকে রাজি করান রিলিজ নিয়ে নিতে। হয়তো কালকের মধ্যে মার্টিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা সরকারি ভাবে ঘোষণাও করে দেওয়া হবে। মার্টি রিলিজ নিতে রাজি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন বিদেশি ডিফেন্ডারের নাম ঘোষণা করে দেয় কোয়েস। এর আগে ফ্রি থাকা ভাল বিদেশি ফুটবলার পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না দেখে গত মরশুমে খেলে যাওয়া বিশ্বাকাপার জনি অ্যাকোস্টার সঙ্গে কথা বলেন কোয়েস কর্তারা। শেষ পর্যন্ত নেওয়া হল ভিক্টর পেরেজকে।
বৃহস্পতিবারের পাঞ্জাব এফসি ম্যাচ প্রসঙ্গে মারিও বলছিলেন, “দেখুন, একটা জয় দরকার। তাহলেই দেখবেন দলটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। টানা জয় না পাওয়ার জন্যই সব কিছু খারাপ লাগছে।” ক্রোমা বলছিলেন, “মানছি, পাঞ্জাবের ডিফেন্স লাইন বেশ ভাল। কিন্তু মোহনবাগান যদি গোল করতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না?”ক্রোমারা যে দলের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার খেলতে নামছে, সেই দলেই রয়েছে সঞ্জু প্রধান, কেভিন লোবো, নির্মল ছেত্রীর মতো ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া ফুটবলার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.