Advertisement
Advertisement

Breaking News

শাপমুক্তি হল না কেরালার, কাট্টিমণির জাদুতে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ

টাইব্রেকারে স্বপ্ন ভাঙল কেরালার।

Hyderabad wins ISL। Sangbad Pratidin
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:March 20, 2022 10:19 pm
  • Updated:March 21, 2022 8:54 am  

হায়দরাবাদ১ (৪) (সাহিল)
কেরালা ব্লাস্টার্স১ (২) (রাহুল কেপি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএল (ISL) পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন। রবিবাসরীয় ফাইনালে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল হায়দরাবাদ। অতীতে আইএসএল ফাইনালে পৌঁছেও ট্রফি জেতা হয়নি কেরালার (Kerala Blasters)। আইএসএলের প্রথম সংস্করণের ফাইনালে কেরালা মুখোমুখি হয়েছিল এটিকের। শেষ মুহূর্তে রফিকের দেওয়া গোলে প্রথম বার খেতাব জেতে কলকাতার এটিকে। ঠিক দু’ বছর পরের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল কেরালা ও এটিকে। সেবার টাইব্রেকারে কেরালাকে হারিয়ে দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এটিকে। আগের দু’ বারে পারেনি কেরালা, তৃতীয় বারের ফাইনালেও সেই ব্যর্থ তারা। খেলার ৬৮ মিনিটে রাহুল কেপি গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন কেরালাকে। ৮৮ মিনিটে সাহিল তাভোরা সমতা ফেরান। এক্সট্রা টাইমেও গোল করতে পারেনি কোনও দল। অবশেষে টাইব্রেকারে হায়দরাবাদের জন্য শেষ হাসি তোলা থাকল। হায়দরাবাদের বারের নীচে জাদু দেখালেন কাট্টিমণি।টাইব্রেকারে কেরালার ফুটবলারদের বিষ শুষে নেন কাট্টিমণি। হায়দরাবাদ ৩-১-এ টাইব্রেকারে কেরালাকে হারিয়ে প্রথম বার খেতাব জিতে নিল। 

ফাইনালে স্টেডিয়ামে দর্শক উপস্থিত ছিলেন। দর্শকদের উপস্থিতিতে ফুটবলারদের অ্যাড্রিনালিনের গতি বেড়ে যায়। উপভোগ্য ফুটবল তুলে ধরা সম্ভব হয়। ফাইনালে অবশ্য কেউই কাউকে জমি ছেড়ে দেয়নি। না হায়দরাবাদ (Hyderabad FC), না কেরালা। যদিও গোল করার মতো পরিস্থিতি প্রথমার্ধে তৈরি করেছিল দু’দলই। প্রথমার্ধে কেরালার ভাসকুয়েজের শট হায়দরাবাদের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। বিরতির কিছুক্ষণ আগে হায়দরাবাদের সিভেইরোর হেড বাঁচিয়ে দেন কেরালার গোলকিপার গিল। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘নিম্নমানের পিচ’, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট জিতেও আইসিসির রোষের মুখে ভারতীয় বোর্ড]

দ্বিতীয়ার্ধেও গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল দু’ দল। হায়দরাবাদের বিপজ্জনক স্ট্রাইকার ওগবেচে একাধিকবার নিজেকে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। খেলার ৬৮ মিনিটে রাহুল কেপি এগিয়ে দেন কেরালাকে। তাঁর ডান পায়ের শট বাঁচাতে পারেননি কাট্টিমানির মতো অভিজ্ঞ গোলকিপার।বলটা শেষ মুহূর্তে এতটাই ডিপ করে যে কাট্টিমণি শরীর ছুঁড়ে দিয়েও পারেননি সেই বল থামাতে। কিন্তু টাইব্রেকারে তাঁর জন্য যে অন্য চিত্রনাট্য লেখা ছিল। 

হায়দরাবাদ গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। ফ্রি কিক থেকে ওগবেচের নেওয়া বিপজ্জনক শট কোনওক্রমে বাঁচান গিল। ঠিক যখন মনে হচ্ছে কেরালার জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা, ঠিক তখনই ভলি মেরে হায়দরাবাদকে সমতায় ফেরান সাহিল তাভোরা। খেলার বয়স তখন ৮৮ মিনিট।নির্ধারিত সময়ে কোনও দল আর গোল করতে না পারায় ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। অতিরিক্ত সময়ে লেসকোভিচের হেড হায়দরাবাদের পোস্ট কাঁপিয়ে ফিরে আসে। তার আগে পরিবর্ত হিসেবে চেঞ্চোকে মাঠে পাঠান কেরালার কোচ। শুরুতেই চমকে দিয়েছিলেন ভুটানের এই স্ট্রাইকার। আই লিগে মিনার্ভা পাঞ্জাবের হয়ে কাঁপিয়েছিলেন চেঞ্চো। সেই চেঞ্চো এদিনও গোল পেতেই পারতেন নামার সঙ্গে সঙ্গেই।

দিনান্তে তাঁর ও তাঁর দলের জন্য অন্য চিত্রনাট্য লিখে রেখেছিলেন ফুটবলদেবতা। এক্সট্রা টাইমের দ্বিতীয়ার্ধে ওগবেচের শচ গোললাইন থেকে বাঁচান লেসকোভিচ। টাইব্রেকারে হায়দরাবাদের কাট্টিমণি প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন। একের পর এক শট বাঁচালেন তিনি। হেরে গেল কেরালা। তিনবার ফাইনালে পৌঁছেও একবারও জিততে পারল না তারা।  

[আরও পড়ুন: উল্লাস! পানীয়র গ্লাস হাতে তুলে নিয়ে শেন ওয়ার্নকে শেষ বিদায় জানালেন বন্ধু ও পরিবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement