Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফিফার হুমকির জের, সমকামিতার সমর্থনে আর্মব্যান্ড পরার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার কেনদের

এই আর্মব্যান্ড পরলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে ফুটবলারদের, জানিয়েছিল ফিফা।

Harry Kane and others say no to One Love armband in Qatar World Cup amidst FIFA threat  | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:November 21, 2022 5:35 pm
  • Updated:November 21, 2022 5:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতার প্রশাসনের চোখ রাঙানিতে আবারও হারতে বাধ্য হল ফিফা। সমকামিতার প্রতি সমর্থন জানিয়ে রামধনু রঙের আর্মব্যান্ড পরে নামতে চেয়েছিলেন বেশ কয়েকটি দেশের অধিনায়ক। ফিফার (FIFA) নিষেধাজ্ঞা সত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ইরানের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে নামার মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন (Harry Kane) জানিয়ে দিলেন, বিতর্কিত আর্মব্যান্ড ছাড়াই মাঠে নামবেন তিনি। এই ঘটনায় নৈতিক জয় পেল কাতারের প্রশাসন।

বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারে সমকামিতাকে অপরাধের তকমা দেওয়া হয়। এহেন নীতির প্রতিবাদ করতেই রামধনু রঙের আর্মব্যান্ড পরতে চেয়েছিলেন বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের অধিনায়করা। নেদারল্যান্ডসের নেতৃত্বে এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছিল ওয়ান লাভ। এই উদ্যোগে শামিল ছিল ইংল্যান্ড, সুইৎজারল্যান্ড, জার্মানি, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম-সহ আরও কয়েকটি দেশ। তবে ফিফার তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, যে দেশের অধিনায়ক এই আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামবেন, ম্যাচ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হলুদ কার্ড দেখানো হবে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, ফিফার দেওয়া আর্মব্যান্ডই পরতে হবে সকল অধিনায়ককে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:বিশ্বকাপ ফাইনালে নেইমার-রোনাল্ডোকেই দেখছেন ব্যারেটো, কতদূর এগোবে মেসির আর্জেন্টিনা?]

রবিবার পর্যন্তও হ্যারি কেন বলেছিলেন, বিশেষ আর্মব্যান্ড পরেই মাঠে নামবেন তিনি। যতই ফিফার নিষেধাজ্ঞা থাকুক না কেন, নিজেরদের অবস্থানে অনড় থাকার বার্তা দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত পালটে নিতে বাধ্য হলেন তিনি। ওয়ান লাভ উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির তরফে যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইচ্ছা থাকলেও ফিফার নির্দেশের বিরোধিতা করতে পারছেন না তাঁরা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের ফুটবল প্রশাসনের অংশ হিসাবে ফুটবলারদের মাঠের মধ্যে শাস্তির মুখে ঠেলে দিতে পারি না। তাই অধিনায়কদের অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন বিশেষ আর্মব্যান্ড না পরেন। যদিও এই আর্মব্যান্ড পরার অনুমতি চেয়ে কয়েক মাস আগেই ফিফার কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাদের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।”

প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপের সঙ্গেই কাতারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণকাজে শ্রমিকদের মৃত্যু থেকে শুরু করে হাজারো বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার মুখে পড়েছে মধ্য প্রাচ্যের এই দেশটি। প্রশাসনের চাপে পড়েই বিয়ার বিক্রিতে কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল ফিফা। এবার সমকামিতার সমর্থনে মুখ খোলার অধিকারেও হস্তক্ষেপ করল ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। কাতারি প্রশাসনের চাপে পড়ে আর কত নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নামতে চলেছে বিশ্বকাপের উপরে, চিন্তা বাড়ছে ফুটবলপ্রেমীদের।

[আরও পড়ুন:‘বিয়ার চাই’, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে গ্যালারি থেকে চিৎকার ইকুয়েডর ফ্যানদের, ভিডিও ভাইরাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement