সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্লাভস জোড়া তুলে রাখলেন সুব্রত পাল। ইন্ডিয়ান ফুটবল টিমের সোশাল মিডিয়া পেজে সুব্রত পালের ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ”ধন্যবাদ স্পাইডারম্যান।”
দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়ার কাছ থেকেই এই ‘স্পাইডারম্যান’ নাম পেয়েছিলেন সুব্রত। দোহায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতের গোল লক্ষ্য করে ২০টি শট নিয়েছিলেন কোরিয়ান ফুটবলাররা। সুব্রত পাল ১৬টি সেভ করেছিলেন। তার পরই কোরিয়ান মিডিয়া তাঁর নাম দেয় ‘স্পাইডারম্যান’। ভারত অবশ্য সেই ম্যাচটা ৪-১ গোলে হার মেনেছিল।
ময়দানের ‘মিষ্টু’কে সেই সময়ে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”আমি স্পাইডারম্যান নই। আমি একজন শিক্ষার্থী। গোলকিপিং উপভোগ করছি। আমি বেশ কয়েকবার বল বাঁচিয়েছি। আর তার ফলে উপকৃত হয়েছে দেশ। এটাই আমার ভাল লাগছে।” দেশের জার্সিতে সুব্রত সব সময়ে ধরা দিতেন অন্য অবতারে। তাঁর সম্পর্কে কথিত রয়েছে, ক্লাব ফুটবলের থেকেও জাতীয় দলের হয়ে তাঁর সাফল্য অনেক বেশি। তাঁর সম্পর্কে এখনও অনেকে বলে থাকেন, ”ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল সুপারস্টার ইন রিসেন্ট টাইমস।” সাম্প্রতিককালের আন্তর্জাতিক সুপারস্টার সুব্রত পালই।
২০০৯ সালের নেহরু কাপে সিরিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সুব্রত পাল পেনাল্টি শুট আউটে তিনটি শট সেভ করেছিলেন। একজন বাঙালি গোলকিপার হিসেবে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের গোলরক্ষা করছেন, তা শ্লাঘার বিষয়।
তাঁকে দেখেই এখনকার সময়ের গুরপ্রীত সিংদের গোলকিপিং করতে আসা। গুরপ্রীতরা বলতেই পারেন, তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা।
শারীরিক উচ্চতা, সাহস, অকুতোভয় মানসিকতা, মানসিক দৃঢ়তা সুব্রত পালকে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল। দীর্ঘ ফুটবল কেরিয়ারে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। ইস্টবঙ্গল, মোহনবাগান, পুণে, ইউনাইটেড স্পোর্টস, জামশেদপুর, হায়দরাবাদ-সহ একাধিক ক্লাবের গোল আগলেছেন তিনি। সেই সুব্রত পাল অবসর নিলেন। সবুজ মাঠে তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন অসংখ্য মণিমাণিক্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.