দুলাল দে: সব ঠিকঠাক চললে, ফ্রেবুয়ারি থেকে তিন মাসের জন্য অনূর্ধ্ব –২৩ ইন্ডিয়ান সুপার লিগ শুরু করার পরিকল্পনা করছে এফএসডিএল। আপাতত যা পরিকল্পনা হয়েছে, তাতে ফেব্রুয়ারি–এপ্রিল, এই পর্বটাই ধরা হয়েছে জুনিয়র আইএসএলের জন্য।
সিনিয়র দলের আইএসএল করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, জুনিয়র প্রতিভাবান ফুটবলাররা সেভাবে সুযোগ পাচ্ছেন না। যার প্রভাব পড়ছে ভারতীয় দলে। কারণ, সব ভারতীয় ফুটবলারই চাইছেন, আইএসএল খেলতে। সে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ হোক, কিংবা রিলায়েন্স অ্যাকাডেমি। কিংবা আই লিগের কোনও জুনিয়র ফুটবলার। একটু ভাল খেলে ফেললেই, আইলিগ ছেড়ে আইএসএল খেলার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠছেন। আর আইএসল (ISL) শুরু হলেই সারা বছর রিজার্ভ বেঞ্চে। এভাবে সারা বছর মাঠের বাইরে বসে থাকলে, পারফরম্যান্সেও প্রভাব পড়তে বাধ্য। আর এসব কারণেই এফএসডিএল (FSDL) কর্তৃপক্ষ নিজেদের মধ্যে এক আলোচনায় ঠিক করেছে, অনূর্ধ্ব–২৩ ফুটবলারদের নিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ করার জন্য। কিন্তু ক্লাবগুলি একটি ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না, অনূর্ধ্ব–২৩ আইএসএলে সিনিয়র দলের অনূর্ধ–২৩ কোনও ফুটবলারকে খেলানো যাবে কি না। না কি, সম্পূর্ণ নতুন দল তৈরি করতে হবে?
ফেব্রুয়ারি থেকে অনূর্ধ–২৩ আইএসএল (U-19 ISL) করার পরিকল্পনা নিলেও এখনও পর্যন্ত আইএসএলের কোনও দলকেই এই জুনিয়র ইন্ডিয়ান সুপার লিগ নিয়ে কোনও সরকারি বার্তা দেননি এফএসডিএল কর্তারা। ফলে সবাই কানাঘুষোয় শুনলেও সরকারি ভাবে কোনও দল গঠন করতে পারছে না। একমাত্র হায়দরাবাদ এফসি এবং বেঙ্গালুরুর এফসির রিজার্ভ দল থাকার জন্য, অনূর্ধ্ব–২৩ আইএসএল খেলার জন্য নতুন করে আর দল গঠন করতে হবে না। কিন্তু কলকাতার দুই প্রধান এটিকে মোহনবাগান আর এসসি ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (Indian Super League) খেলতে গিয়ে সবচেয়ে সমস্যায় পড়বে।
করোনা আবহের আগে পর্যন্ত নিজেদের রিজার্ভ দল তৈরি রেখেছিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি তৈরি হতেই নিজেদের রিজার্ভ দল ভেঙে দেয়। ফলে এফএসডিএল থেকে যদি রিজার্ভ দলের আইএসএল খেলার সার্কুলার চলে আসে, তাহলে তাড়াহুড়ো করে দল তৈরি করতে হবে। কিন্তু জুনিয়র দল কী হবে, তা নিয়ে কোনও ধারণাই নেই এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal)। তারা আপাতত আইএসএল খেলার জন্য সিনিয়র দল তৈরি করতেই ব্যস্ত। এর পাশাপাশি নতুন দল গড়ার জন্য কোনও ভাবনাই নেই তাদের।
জুনিয়র ইন্ডিয়ান সুপার লিগ করার পাশাপাশি আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ক্রীড়াসূচী তৈরি করতে রীতিমতো সমস্যা হচ্ছে ফএসডিএলের। আর সেই কারণেই আপাতত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্রীড়াসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতীয় দল ব্যস্ত থাকবে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডলি খেলার জন্য। আর সেখানেই চিন্তা। কারণ, এরপর আবার এশিয়া কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের ম্যাচ থাকতে পারে। জাতীয় দলের ফুটবলাররা যদি একবার বায়োবাবলের বাইরে চলে যায়, তাহলে ফের বাবলে ফিরে কিছুদিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। এখন যেমন ঠিক হয়েছে, করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে ৮ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর একটি ডোজ নেওয়া থাকলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে ১১ দিন।
চিমা বাদে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সব বিদেশি ফুটবলাররাই পৌঁছে গিয়েছেন গোয়ায়। অরিন্দম ভট্টাচার্য, আদিল খানের মতো বেশ কয়েকজন ভারতীয় ফুটবলার এখনও পর্যন্ত গোয়ার শিবিরে যোগ দেননি। বাকিরা সবাই কোয়ারেন্টাইনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.