স্টাফ রিপোর্টার: প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Pradip Kumar Banerjee) অবস্থা আরও সংকটজনক। বহু দিন ধরেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন পিকে। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শোনা যায় তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। পিকের শারীরিক অবস্থার খবর পেয়ে দ্রুত মেডিকা হাসপাতালে উপস্থিত হন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও পিকে’র ভাই প্রসূ্ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাতে উপস্থিত সাংবাদিকদের পিকের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে মেডিকার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডক্টর কুণাল সরকার বললেন, “শেষ কয়েক দিন ধরেই সব রকম চেষ্টা চলছে। আজ হঠাৎ করেই প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়। ওঁর রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া খুব কঠিন। তাতেও আমরা আশা ছাড়ছি না। যে কোনও সময়ে যা কিছু ঘটতে পারে। আমাদের এখন শুধু প্রার্থনা করা ছাড়া উপায় নেই।’’৭ই ফেব্রুয়ারি থেকেই মেডিকায় ভর্তি ছিলেন তিরাশি বছরের প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। জানা গিয়েছিল নিউমোনিয়ার জেরেই প্রবাদপ্রতিম ফুটবলারের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া প্রাক্তন অলিম্পিয়ানের হৃদযন্ত্রেও সমস্যা আছে। তাছাড়া তাঁর জটিল স্নায়ূর রোগ অনেক পুরনো। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেল থেকে তাঁর শরীরের একাধিক অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তাঁকে পুরোপুরি ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
ডাক্তারের প্রেস বিবৃতির পর কান্নায় ভেঙে পড়েন পিকের অনুজ প্রসূন। ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে শুধু বলতে থাকেন, ‘‘আমার দাদা। আমার দাদা। আমার দাদা।’’ তাঁর ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায় প্রসূনের। নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন যিনি বললেন, ‘‘দাদা তো আমায় শুধু ফুটবল শেখায়নি। ছোট থেকে মানুষও করেছে।’’ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ আবার আশ্বাস দেন তিনি পিকের শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করবেন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পিকের চিকিসার সব দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাবতীয় খরচ সরকার জোগাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.