ইগর স্টিমাচ।
স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ভারতের হারের পর প্রাক্তন ফুটবলাররা যথেষ্টই হতাশ। ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে সুনীলরা (Sunil Chhetri) হারলেন এমন একটা দলের কাছে যারা ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের থেকে অনেক পিছনে। এই হারের ব্যখ্যা করতে গিয়ে প্রাক্তনদের একাংশ জাতীয় কোচ ইগর স্টিমাচের সমালোচনা করেছেন।
প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য মনে করেন মঙ্গলবার পরিকল্পনা বিহীন নেতিবাচক ফুটবল খেলেই ডুবল ভারত। তিনি বলেন,“ঘরের মাঠে এত দর্শকের সামনে ভারতের ফুটবল দেখে একবারও মনে হয়নি জেতার জন্য খেলতে নেমেছে। বার বার মনে হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন স্টিমাচ। একবারও মনে হয়নি ভারতের মঙ্গলবার প্ল্যান-বি কিংবা প্ল্যান-সি ছিল এই ম্যাচ জেতার জন্য। বুঝতে পারলাম না আমাদের থেকে ফিফা (FIFA) ক্রমতালিকায় থাকা আফগানিস্তানকে এত সমীহ কেন? বরং ওরা অলআউট আসতেই আমরা ভুল করে বসলাম। যে ভুলের খেসারত দিতে হল দলকে।” এখানেই থামেননি তিনি। সঙ্গে যোগ করেন, “ আমার কোথাও মনে হয়েছে এই ম্যাচে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল। ”
প্রাক্তন ফুটবলার ও মহামেডান ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাসও ক্ষুব্ধ জাতীয় কোচের উপর। তিনি বলেন, “জিতলে যেমন কোচ কৃতিত্ব নিচ্ছেন, তেমনই হারলেও দায়ভার নিতে হবে কোচকেই। নইমুদ্দিন, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়রা হলে এতক্ষণে কোচের চাকরি চলে যেত তাহলে স্টিমাচের (Igor Stimac) জন্য আলাদা হবে কেন?” এখানেই থামেননি তিনি। দলের নতুন ফুটবলারদের সুযোগ নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, “এটা খুবই দুঃখজনক বিষয় আই লিগ, ডুরান্ড কাপ, কলকাতা লিগে খেলা ফুটবলারদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আমরা বলি আরও একটা সুনীল ছেত্রী নেই। কিন্তু আমরা কি যারা সত্যিকারের প্রমাণ করছে, তাদের সুযোগ দিচ্ছি? নয়তো ডেভিডের মতো ফুটবলার যে সারা মরশুমে মহামেডানের মতো দলের হয়ে ৩০টির বেশি গোল করেছে, তাকে কেউ চেনেই না?”
গৌরমাঙ্গি সিং বলেন, “এই দলটাই ২০২২ সালে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে কাতারের সঙ্গে ড্র করেছিল। গত বছরও সাফল্য ছিল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। যে দলটা গত বছর সাফল্যের মধ্যে ছিল তাহলে হঠাৎ কী হল, এমনভাবে পরপর খারাপ ফল হচ্ছে? আমার মনে হয় ড্রেসিংরুমে কোনও কিছুর অভাব রয়েছে। বা এমন কিছু ঘটছে, যা প্রভাব ফেলছে দলের খেলায়। ফুটবলারদের সঙ্গে কোচের সম্পর্কের দিকটাও দেখতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.