দুলাল দে: করোনা মোকাবিলায় অনেক আগেই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ফুটবলাররা। এবার আমফানে বিধ্বস্ত বাংলার মানুষদের পাশেও ৩৮জন ফুটবলার নিয়ে গঠিত ‘প্লেয়ার্স ফর হিউম্যানিটি।’ যেখানে রয়েছেন, সুব্রত পাল, মেহতাব হোসেন, অর্ণব মণ্ডল, শুভাশিস রায় চৌধুরি, সন্দীপ নন্দী, প্রণয় হালদার, প্রীতম কোটাল, শৌভিক ঘোষের মত ফুটবলাররা।
একে তো করোনার ভয়ে কাঁটা আমজনতা। এমন পরিস্থিতিতে আমফানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। ঘর-বাড়ি হারিয়ে পথে বসেছেন বহু মানুষ। পেটে খিদের জ্বালা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন বহু মানুষ। মানুষকে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে আরজি জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এগিয়ে এসেছেন বহু মানুষ। তাঁদের পাশে দাঁড়াল ফুটবলাররাও। ‘প্লেয়ার্স ফর হিউম্যানিটি’ তাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
“ফ্যানদের ভালবাসার জন্যই সমৃদ্ধ হয় ফুটবলারদের জীবন। এখন সেই ভালবাসা ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। দুঃসময়ে একে অন্যর পাশে দাঁড়াতে হয়।” বলছিলেন জাতীয় ফুটবলার সুব্রত পাল। জাতীয় দলের আরেক ফুটবলার প্রণয় হালদার বলছিলেন, ‘‘ঠিক হয়েছে, আমাদের মধ্যে কিছু ফুটবলার আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেবে। ব্যক্তিগত স্তরেও আমি সবাইকে অনুরোধ করব, এই দুঃসময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।”
সুব্রত পাল, প্রণয় হালদারদের সঙ্গে একমত প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার মেহতাব হোসেনও। বলছিলেন, “ফুটবলার হিসেবে সমাজ থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। এখন বিপদের দিনে সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়া উচিত আমাদের। সুন্দরবন, কাকদ্বীপ, মেদিনীপুরের মতো এলাকায় আমফানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আমফানের ফলে যাঁদের ঘর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, চেষ্টা কবব তাঁদের দিকে সবার আগে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিতে। ঘর বাড়ি পুণর্নির্মাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হবে।” আরেক জাতীয় ফুটবলার অর্ণব মণ্ডলও সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বলছিলেন, “এই সময় সবার উচিত, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো। প্রত্যেকের তাঁর সাধ্যমত ক্ষমতা নিয়ে পাশে দাঁড়ানো উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.