স্টাফ রিপোর্টার: জবি জাস্টিনকে নিয়ে দড়ি টানাটানির পর্ব অব্যাহত। এটিকে নাকি ইস্টবেঙ্গল, কোথায় তাঁর ভবিষ্যৎ, এখনও স্পষ্ট নয়। যে ইস্যুতে আজ, শনিবার আইএফএ পৌঁছে ছিলেন জবি। যেখানে গোটা পরিস্থিতির জন্য ইস্টবেঙ্গলকেই একপ্রকার কাঠগড়ায় তুললেন কেরলের স্ট্রাইকার।
এটিকেতে সই করা নিয়ে মুখ খোলার পর থেকেই বিপাকে পড়েছেন জবি। আগামী মরশুমে আইএসএলের দলে জবি খেলবেন, জানতে পারার পর থেকেই কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। এমনকী তাঁকে প্র্যাকটিসে আসতেও বারণ করে দেন লাল-হলুদ কোচ আলেজান্দ্রো। কিন্তু জবির বক্তব্য ছিল, মে পর্যন্ত তিনি ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিবদ্ধ ফুটবলার। তাই বাংলাদেশে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার জন্য তিনিও দলের সঙ্গে যাবেন বলেই ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু এটিকেতে সই করার কথা প্রকাশ্যে আসতেই ছবিটা পালটে যায়। জবি সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলার পরই ইস্টবেঙ্গল পালটা দিয়ে জানায়, যে জবি যে তাঁদের দলেরই খেলোয়াড়, তার প্রমাণ হিসেবে টোকেনও দেওয়া হয়েছিল। তাই এটিকে তাঁকে সই করালেও জবির উপর অধিকার ইস্টবেঙ্গলেরই। যদিও এদিন আইএফএ-তে এসে জবি জানান, টোকেনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বরং বলেন, “ইস্টবেঙ্গল যা যা বলছে, তা একেবারেই ঠিক নয়। আমি এটিকে-তেই খেলতে চাই।”
এই পরিপ্রেক্ষিতে ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তাদেরও ডেকে পাঠায় আইএফএ। ক্লাবের তরফে বলা হয়, জবি সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র, তথ্য, কোয়েসের সঙ্গে চুক্তির প্রমাণ তারা ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। দু’পক্ষের যুক্তি শোনার পর আগামী ১৭ এপ্রিল কোয়েসের সিইও সঞ্জিত সেনকে দেখা করতে বলে আইএফএ। অর্থাৎ জবির ভবিষ্যৎ নিয়ে জট যে এখনও কাটল না, তা বলাই বাহুল্য।
এদিকে মিনার্ভা পাঞ্জাব ও চেন্নাই সিটি এফসি ম্যাচে কোনও গড়াপেটা হয়নি বলে ফেডারেশনের লিগ কমিটিকে জানিয়ে দিলেন ফেডারেশনের ইন্ট্রিগ্রিটি অফিসার। ইন্ট্রিগ্রিটি অফিসারের এই রিপোর্ট গ্রহণও করেছে লিগ কমিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.