স্টাফ রিপোর্টার: ঘটনাটা শুরু হয়েছিল ৯২’-তে। তৎকালীন মোহনবাগান গ্রাউন্ড সচিব স্বাধীন মল্লিকের তরফে কিংবদন্তি গোষ্ঠ পালের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলা হয়েছিল, ক্লাবে মিউজিয়াম হবে। তার জন্য পরিবারের কাছে থাকা গোষ্ঠ পালের স্মারক চায় ক্লাব।
ভরসা করে প্রয়াত কিংবদন্তির মূল্যবান স্মারক মোহনবাগান গ্রাউন্ড সচিবের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গোষ্ঠপালের ছেলে নিরাংশু পাল। কিন্তু তারপর সব উধাও। বারবার ফেরত পাওয়ার আবেদন করে ক’দিন আগে কয়েকটা স্মারক পেয়েছেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবাদপ্রতিম ফুটবলারের ছেলে সোমবার সকালে ক্লাবে এসে ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে ‘মোহনবাগান রত্ন’ ফিরিয়ে দেন। সঙ্গে একটি চিঠিও দেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, পদ্মশ্রী পদক-সহ আরও নানা পুরস্কার ফেরৎ না পাওয়ার প্রতিবাদে ‘মোহনবাগান রত্ন’ ফিরিয়ে দিলাম।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে। সেদিনই ছিল গোষ্ঠ পালের ৪৪তম মৃত্য়ুবার্ষিকী। সেখানেই মাল্যদান করতে আসেন ছেলে নিরাংশু পাল। ছিলেন মোহনবাগান ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানে মোহনবাগান ফুটবল সচিবকে ঘটনাটা খুলে বলেন নিরাংশুবাবু। তারপর তাঁর সঙ্গেই চলে আসেন ক্লাব তাঁবুতে। সেখানে আরেক প্রাক্তন ফুটবলার কোষাধ্যক্ষ সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন। মোহনবাগান রত্ন ফেরৎ দেওয়ার কথা শুনে তিনি নিরাংশুবাবুকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। বলেন, বর্তমান কমিটি এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতা করবে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। ফুটবল সচিবের হাতে তা দিয়ে তিনি চলে যান। তবে যাওয়ার আগে একটি চিঠিও দেন।
পুরো ঘটনা জানতে পেরে কাজে নেমে পড়ে মোহনবাগানের বর্তমান কমিটি। ব্যাপারটা দেখভালের জন্য গঠিত হয় ৬ সদস্যর কমিটি। যে কমিটিতে রয়েছেন, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, উত্তম সাহা, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মহেশ টেকরিওয়াল, সিদ্ধার্থ রায় এবং মঞ্জু ঘোষ। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুধু গোষ্ঠ পাল নন, অনেক প্রাক্তন ফুটবলারের পরিবারের থেকেই অভিযোগ এসে জমা পড়েছে যে, আগের কার্যকরি কমিটির হাতে তাঁরা প্রাক্তন ফুটবলারের প্রচুর স্মারক জমা দিয়েছেন। যা এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার জন্য এই কমিটি গঠন। যে সব কিছু খতিয়ে দেখবে। দেখবে স্মারকগুলি কোথায়? এর জন্য পুলিশেরও সাহায্য নিতে পারে এই ৬ সদস্যর কমিটি। এমনকী প্রয়োজনে ডাকা হতে পারে তৎকালীন কার্যকরি কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যদেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.