সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কী হতে পারত! আর কী হল! সৌদি আরবের (Saudi Arabia) বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষে যে ফলাফল হতে পারত ৪-০, সেটা কিনা হল ১-০। সৌজন্য অফসাইডের গেরো। দুর্বল সৌদির বিরুদ্ধে এই অফসাইডের গেরোই হতাশায় ডোবাল আর্জেন্টিনা সমর্থকদের। এক এক করে অফসাইডের জন্য বাতিল হল তিনটি গোল। একটি মেসির এবং দুটি মার্টিনেজের।
আর্জেন্টিনা এদিন অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় মেসির (Leo Messi) পেনাল্টির সৌজন্যে। সেই পেনাল্টিও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। ম্যাচের ১০ মিনিটে মেসির কর্নার কিকের সময় বক্সে বিতর্কিত ফাউল করেন আরবের ফুটবলার। যা নজরে পড়ে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির। VAR-এর সিদ্ধান্তেই পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। পেনাল্টি স্পট থেকে অবশ্য নিখুঁত ভঙ্গিমায় গোল করতে ভুল করেননি এলএম টেন (LM 10)।
মিনিট ১২ বাদেই আবার নিখুঁত থ্রু বল থেকে নিজের ট্রেডমার্ক ফিনিশে আরবের জালে বল জড়িয়ে দেন মেসি। মুহূর্তে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, কারণ পরমুহূর্তেই রেফারি জানিয়ে দেন, এলএম টেন অফসাইড ছিলেন। সেই যে অফসাইডের ভূত আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের উপর ভর করল, তারপর গোটা প্রথমার্ধেই সেটা বজায় রইল। এরপর পরপর দু’বার গোল করার পর লউতারো মার্টিনেজ জানতে পারলেন দু’বারই তিনি অফসাইড ছিলেন। প্রথমে তিরিশ মিনিটে এবং দ্বিতীয়বার ম্যাচের ৩৫ মিনিটে। দু’টি গোলেই ছিল লাতিন আমেরিকার ফুটবলের শৈল্পিক ছোঁয়া। কিন্তু ভিএআরের দৌলতে বাতিল হল দু’গোলই।
পরপর তিনটি গোল বাতিল হওয়ায় নীল-সাদা সমর্থকরা ভাগ্যকে শাপশাপান্ত করতেই পারেন। কিন্তু সার্বিকভাবেই প্রথমার্ধে প্রত্যাশিত ঝকঝকে ফুটবল উপহার দিতে পারেনি আর্জেন্টিনা (Argentina)। অনেক ক্ষেত্রেই খাপছাড়া দেখিয়েছে ডি’পল, ওটামেন্ডি বা টাগলিয়াফকোদের। তবে শেষমেশ প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের প্রাপ্তি মেসির গোল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.