Advertisement
Advertisement

Breaking News

Euro Cup 2024 Final

ইউরোপ দখল স্প্যানিশ আর্মাডার, ইংল্যান্ডকে পরাস্ত করে চতুর্থ বার ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন

ট্রফিখরা কাটল না হ্যারি কেনের। নিকো আর ওয়ারজাবালের গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের পর এবারও হারের যন্ত্রণা মাথায় নিয়েই ইউরো শেষ হল ইংল্যান্ডের। টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার পেল লামিনে ইয়ামাল।

Euro Cup 2024: Spain wins vs England in Final

ইউরোজয়ী স্পেন

Published by: Arpan Das
  • Posted:July 15, 2024 2:24 am
  • Updated:December 5, 2024 4:15 pm  

স্পেন: ২ (নিকো, ওয়ারজাবাল)
ইংল্যান্ড: ১ (পালমার)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:
বার্লিনের অলিম্পিয়াস্তাদিও স্টেডিয়ামে ফাইনাল শুরুর আগে ট্রফি হাতে মাঠে ঢুকছেন জর্জিও চিয়েল্লিনি। গতবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন দল ইটালির তৎকালীন অধিনায়ক। ঠিক সেই সময়ে কী ভাবছিলেন ইংল্যান্ডের বুকায়ো সাকারা? গত ইউরোয় তাঁর জার্সি টেনে ধরার সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। আর শেষে টাইব্রেকারে হার। এবার ফের সুযোগ নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের। আর বিপক্ষে এমন একটা দল যাদের ফাইনালে রেকর্ড দুরন্ত। এবারও তারুণ্যের মাধুর্যে মাঠে ফুল ফুটিয়েছেন স্পেনের ইয়ামাল-নিকোরা। আর ফাইনালেও জয় হল স্প্যানিশ আর্মাডার। ট্রফিখরা কাটল না হ্যারি কেনের। গ্যারেথ সাউথগেটের মগজাস্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হল স্পেন (Spain Football Team)। চতুর্থ বার ইউরো (Euro Cup 2024) জয়ের রেকর্ড লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল। যে কৃতিত্ব আর কোনও দেশের নেই। একমাত্র দল হিসেবে টানা সাত ম্যাচ জিতে ইউরোর মুকুট মাথায় পড়ল স্পেন।

গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে অত্যন্ত ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবল খেলেছেন বেলিংহ্যামরা। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ছাড়া কোনও ম্যাচেই মন মাতাতে পারেনি সাউথগেটের ছেলেরা। যদিও জয় আটকে থাকেনি। অতিরিক্ত ডিফেন্স নিয়ে যে সমালোচনার ঝড় বইছে, সেটাই প্রথমার্ধে শক্তি হল ইংল্যান্ডের (England Football Team) জন্য। দুই উইংয়ে নিকো আর ইয়ামালের গতিকে রুখতে তৈরি ছিলেন শক্তিশালী দুই সাইডব্যাক লুক শ আর কাইল ওয়াকার। নিচে নেমে সাহায্য করছিলেন সাকা আর বেলিংহ্যামও। আর মাঝমাঠে ফাবিয়ান রুইজ- দানি ওলমোকে রোখার দায়িত্বে ছিলেন ১৯ বছরের তরুণ কোবি মেইনু। নিজেরা সেভাবে আক্রমণে না উঠতে পারলেও, স্পেনের ছন্দ নষ্ট করে দিল ইংল্যান্ড। মাঝমাঠ থেকে ডিফেন্সের মধ্যে অসংখ্য পায়ের জঙ্গল ভেদ করতে পারলেন না রড্রিরা। বিচ্ছিন্ন কিছু আক্রমণে থেমে গেল নিকোদের দৌড়। তারই মধ্যে প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে সুযোগ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন। কিন্তু তাঁর বাঁ পায়ের দুর্বল শট আটকে দেন স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমন।

Advertisement

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আঘাত। নেপথ্যে সেই নিকো-ইয়ামাল জুটি। তখনও ভালো করে গুছিয়ে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড রক্ষণ। বাঁদিক থেকে বল নিয়ে ঢুকে নিকোকে সাজিয়ে দেন ইয়ামাল। সেই সময় জায়গাতেই ছিলেন না কাইল ওয়াকার। নিকোর জোরালো শট পিকফোর্ডকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়। গোলের পরই যেন চেনা ছন্দে ফিরল স্পেন। চোট পাওয়া রড্রির জায়গায় নামলেন জুবিমেন্দি। আর একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেলেন ওলমোরা। তিনি সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে, তখনই দুই গোলে এগিয়ে যেত স্পেন। গোল মিস করেন মোরাতাও। 

[আরও পড়ুন: বছর ঘুরলেও পালটাল না ছবি, উইম্বলডনে ফের জোকার-বধ আলকারাজের]

পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে তড়িঘড়ি হ্যারি কেনকে তুলে আগের ম্যাচের নায়ক ওলি ওয়াটকিন্সকে নামান সাউথগেট। কিছুক্ষণ পরেই নামান কোল পালমারকে। নেদারল্যান্ডস ম্যাচে অ্যাসিস্ট করেছিলেন। আর এদিন তাঁর ১১৮ কিমি প্রতি ঘণ্টার শট স্পেন রক্ষণকে ছিন্নভিন্ন করে জালে জড়িয়ে গেল। তার পরও সুযোগ এসেছিল ইয়ামালের কাছে। কিন্তু এক্ষেত্রে পরিত্রাতা পিকফোর্ড। তাতেই বা শেষরক্ষা হল কোথায়! ৮৬ মিনিটে জয়ের গোল করলেন স্পেনের ওয়ারজাবালের। কুকুরেয়ার থেকে বল পেয়ে দারুণ ফিনিশ করে গেলেন বদলি হিসেবে নামা ফুটবলার। ৯০ মিনিটের মাথায় গোললাইন সেভ করলেন দানি ওলমো।

ওয়ারজাবালের গোলের মুহূর্ত।

[আরও পড়ুন: জয়ের ধারা অব্যাহত মহামেডানের, লিগে সাদার্নকে হারাল সাদা-কালো শিবির

রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের পর এবারও হারের যন্ত্রণা মাথায় নিয়েই ইউরো শেষ হল ইংল্যান্ডের। গতবছর ট্রফি গিয়েছিল রোমে। এবার ইউরোর জয়রথ ছুটল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার দিকে। ইউরোর সেরা তরুণ প্লেয়ার হলেন লামিনে ইয়ামাল। স্পেনের ‘স্কুলবয়’দের দাপটে থেমে গেল ‘ইটস কামিং হোম’-এর সুর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement