শিলাজিৎ সরকার: বছর দশেক আগের কথা। কোচ জান উরবানের সহকারী হিসাবে স্প্যানিশ ক্লাব সিএ ওসাসুনায় যোগ দিয়েছেন কিবু ভিকুনা (Kibu Vicuna)। ক্লাবের যুব দল থেকে সেবছর সিনিয়র স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন কয়েকজন ফুটবলার। প্রাক্-মরশুম অনুশীলন পর্বে তাঁদের মধ্যে একজনকে চোখে ধরেছিল উরবান-ভিকুনাদের। সিনিরর দলের জার্সিতে অভিষেকের জন্য বিশেষ অপেক্ষা করতে হয়নি ওই ফুটবলারকে। আর সেই জার্সি পেয়ে যাওয়ার পর শুধু সাফল্যের পথেই এগিয়েছেন তিনি।
সেই ফুটবলার, অর্থাৎ মিকেল মেরিনো (Michel Merino)। শুক্রবার রাতে যাঁর গোলে ইউরো (Euro Cup 2024) কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়েছে স্পেন। আর দশ বছর আগে মেরিনোকে ওসাসুনার সিনিয়র দলে তুলে আনার পিছনে অনেকটাই ভূমিকা ছিল দলের তৎকালীন সহকারী কোচ ভিকুনার।
সেকথাই শোনাচ্ছিলেন একদা মোহনবাগানকে (Mohun Bagan) আই লিগ জেতানো এই কোচ। “মেরিনোকে আমরা প্রথম যখন দেখি, ও একেবারেই তরুণ। ১৮ বছর বয়স। রিজার্ভ দলের হয়ে ভালো খেলছিল। আমরা প্রি-সিজনে সিনিয়র দলের সঙ্গে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, একটু একটু করে উন্নতি করবে,” বলছিলেন ভিকুনা, “কিন্তু ও আমাদের অবাক করে দিয়েছিল। সেসময় ওসাসুনা স্প্যানিশ লিগে দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলত। প্রথম ম্যাচে আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল বার্সেলোনার রিজার্ভ দল। সেই ম্যাচে মেরিনো দুর্দান্ত খেলেছিল। সেদিন থেকেই ও প্রথম দলের সদস্য হয়ে যায়।”
শুক্রবার একটা সময় পর ম্যাচ নিশ্চিতভাবেই পেনাল্টি শুটআউটে গড়াবে মনে হয়েছিল। এমন সময় নিখুঁত লাফে জার্মানদের টপকে যান মেরিনো, স্পেনকে (Spain) নিয়ে যান ইউরোর শেষ চারে। ১১৯ মিনিটের এই গোলকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিচ্ছেন ভিকুনা। অকপটে বলে গেলেন, “মেরিনোর এই গোলটা স্পেনের ইতিহাসে থেকে যাবে। আমরা ৩৬ বছর কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে জার্মানির কাছে হারিনি। হয়তো টাইব্রেকারে গেলেও আমরা জিততাম। তবে মেরিনোর জন্য আমাদের অপেক্ষা ততটা দীর্ঘ হয়নি।” তবে এই গোলের পর মেরিনো ‘স্টার’ হয়েছেন, মানেন না ভিকুনা। “মেরিনো মোটমুটি এক দশক সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (UEFA Champions League) খেলেছে। দেশের জার্সিতে গোল করেছে। এমনকি নেশনস লিগও জিতেছে। নতুন করে ওর পরিচিতি পাওয়ার কিছু নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.