সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর দিন চারেক পরেই শুরু হচ্ছে ইউরো কাপ। ব্লকবাস্টার ফুটবল টুর্নামেন্টের দাবিদারদের শক্তি কী? এক্স ফ্যাক্টর কে? এ সমস্ত কিছুই খুঁজে দেখল ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। আজ বেলজিয়াম (Belgiam)।
শক্তি:
কেভিন ডে’ব্রুইন। ফুটবলবিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। এই মুহূর্তে স্বপ্নের ফর্মে আছেন। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পিছনে প্রধান কারিগর ডে’ব্রুইন। যদিও টুর্নামেন্টের শুরু থেকে তাঁকে পাওয়া নিয়ে সংশয়ে বেলজিয়াম। দলের আর এক শক্তি রোমেলু লুকাকু। ইন্টার মিলানের হয়ে অবিশ্বাস্য সমস্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন লুকাকু। বিশ্বমানের স্ট্রাইকার। যে কোনও ম্যাচের ছবি পাল্টে দিতে পারেন।
দুর্বলতা:
বিশ্বফুটবলের চোকার্স। প্রতিটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত দল গড়েও শেষমেশ হতাশ করে বেলজিয়াম। বড় ম্যাচ পরিস্থিতিতে ফুটবলাররা ছন্দ হারায়। এবার রক্ষণ নিয়েও খানিক চিন্তায় থাকবেন কোচ।
এক্স ফ্যাক্টর:
এডেন হ্যাজার্ড। প্রতিভাবান ফুটবলার। অফ দ্য স্ট্রাইকার হোক কী উইং, প্রতিটা পজিশনে খেলতে পারেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা ড্রিবলার। আবার খুবই ক্লিনিকাল ফিনিশার।
সেরা তরুণ তারকা:
জেরেমি ডোকু। গোলক্ষুধার্ত ফরোয়ার্ড। গতি আছে।
হেডমাস্টার:
রবার্তো মার্তিনেজ। আক্রমণাত্মক মানসিকতার কোচ। ম্যাচ রিডিং দারুণ।
পুরো দল:
কুর্তোয়া (গোলরক্ষক), মিগনোলেট (গোলরক্ষক), ম্যাটজ সেলস(গোলরক্ষক), ডেডরিক বোয়াটা, জেসন ডেনায়ার, জান ভার্তনঘন, টবি আল্ডেরওয়েরল্ড, থমাস ভার্মালিন, উইটসেল, কেভিন ডে ব্রুইন, টেলেমেনস, লেন্ডার ডেন্ডনকার, হান্স ভাঙ্কেন, ডেনিস পারেট, থমার মুনিয়ের, ইয়ানিক কারাস্কো, থরগ্যান হ্যাজার্ড, তিমথি ক্যাস্টেন, নাসের চাঁদলি, এডেন হ্যাজার্ড (অধিনায়ক), রোমেউ লুকাকু, মিচি বাতসুয়াই, ক্রিশ্চিয়ান বেন্টেকে, ড্রেয়েস মের্টেন্স, জেরেমি ডোকু, লিনার্ডো ট্রসেড
ফর্মেশন:
৫-৩-২
সম্ভাব্য প্রথম একাদশ:
কুর্তোয়া. জেসন ডেনায়ার, টবি আল্ডেরওয়েরল্ড, জান ভার্তনঘন. ইয়ানিক কারাস্কো, তিমথি ক্যাস্টেন, উইটসেল. কেভিন ডে ব্রুইন, টেলেমেনস, রোমেউ লুকাকু, এডেন হ্যাজার্ড (অধিনায়ক)
ইউরোয় সেরা ফল:
১৯৮০ ইউরোতে রানার্স
সম্ভাবনা: বেলজিয়াম প্রমাণ করতে চাইবে, সত্যিই এটা তাঁদের সোনার প্রজন্ম। যাঁরা রাশিয়া বিশ্বকাপে না পারলেও বিশ্বফুটবলে নিজেদের স্বর্ণসাক্ষর স্থাপনে সক্ষম। সত্যি তো, কে নেই টিমটায়? ডে’ব্রুইন, লুকাকু, কুর্তোয়া, হ্যাজার্ড নিজে! হ্যাজার্ড (Eden Hazard) তো আবার অধিনায়কও। কিন্তু তার পরেও রাশিয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে হয়েছিল বেলজিয়ামকে। ইউরোই বেলজিয়ামের এই সোনালি প্রজন্মের কাছে শেষ সুযোগ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার। যদিও টুর্নামেন্টের আগেই বিতর্কে জড়িয়েছে গোটা দল। করোনার আবহে আরবিএফএ (রয়্যাল বেলজিয়াম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) নির্দেশিকা দিয়েছিল ইউরোর আগে বেলজিয়াম দলের প্রতিটা ফুটবলারকে টিকা নিতে হবে। রোমেলু লুকাকু থেকে এডেন হ্যাজার্ড সবাই রাজি ছিলেন করোনা টিকা নিতে। কিন্তু হঠাৎই ইউ টার্ন নিয়ে ফুটবলাররা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা করোনা টিকা নেবেন না। হঠাৎ এমন উলটপূরাণ কেন? শোনা যাচ্ছে হ্যাজার্ড-ডে’ব্রুইনরা মনে করছেন করোনা টিকা নেওয়া মানে শরীরে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াই হয়তো মাঠে তাদের পারফরম্যান্সের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে অন্তত ইউরোর আগে কেউ করোনা টিকা নেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। শোনা যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid) তারকা হ্যাজার্ড নাকি লিখিত ভাবে আরবিএফএ কর্তাদের জানিয়েছেন দলের ফুটবলাররা চাইছেন যাতে তাঁদের বাধ্য না করা হয় করোনা টিকা নিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.