সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর দিন কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে ইউরো কাপ (Euro Cup 2020)। ব্লকবাস্টার ফুটবল টুর্নামেন্টের দাবিদারদের শক্তি কী? এক্স ফ্যাক্টর কে? এ সমস্ত কিছুই খুঁজে দেখল ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। আজ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স (France)।
শক্তি: খুবই ব্যালান্সড দল। রক্ষণ হোক কী আক্রমণ। প্রায় প্রতিটা পজিশনেই বিশ্বমানের সমস্ত প্রতিভারা আছেন। ফ্রান্সের আর এক শক্তি কিলিয়ান এমবাপে। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। গতি আছে। নিখুঁত ড্রিবল করতে পারেন। ক্লিনিকাল ফিনিশার। করিম বেঞ্জিমার প্রত্যাবর্তনও দলকে আরও আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
দুর্বলতা: গোলকিপিং বিভাগ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। হুগো লরিস ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছেন।
এক্স ফ্যাক্টর: এনগোলো কান্তে। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা হোল্ডিং মিডফিল্ডার। বিপক্ষের মুভ থামিয়ে দিতে পারেন। ক্রমাগত উপরনীচ করেন।
ফর্মেশন: ৩-৪-১-২ ও ৪-২-৩-১
সেরা তরুণ তারকা: কিংসলে কোমান। মাত্র চব্বিশ বছর বয়সেই ক্লাব ফুটবলে ২৩টা ট্রফি জিতেছেন। এছাড়া কিলিয়ান এমবাপে সেই তালিকাতেই রয়েছেন।
হেডমাস্টার: দিদিয়ের দেশঁ। অভিজ্ঞ কোচ। দলকে কাউন্টার অ্যাটাকিং ফুটবল খেলাতে ভালবাসেন।
পুরো দল: গোলকিপার- মাইক মাইগনান (লিলে), হুগো লরিস (অধিনায়ক) (টটেনহ্যাম), স্টিভ মানদানা (মার্সেই)
ডিফেন্ডার- রাফায়েল ভারানে (রিয়াল মাদ্রিদ), জুলস কৌন্ডে (সেভিয়া), প্রিসনেল কিমপেম্বে (পিএসজি), কার্ট জুমা (চেলসি), লেঙ্গলেট (বার্সেলোনা), লুকাস হার্নান্ডেজ (বায়ার্ন মিউনিখ), লুকাস ডিগনে (এভারটন), বেঞ্জামিন পাভার্ড (বায়ার্ন মিউনিখ), লিও ডুবোইস (অলিম্পিক লিঁও)
মিডফিল্ডার- এনগোলো কান্তে (চেলসি), পল পোগবা (ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড), আদ্রিয়ান র্যাবিওট (জুভেন্তাস), তোলিসো (বায়ার্ন মিউনিখ), সিসোকো (টটেনহাম), থমাস লেমার (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), কিংসলে কোমান (বায়ার্ন মিউনিখ), মার্কাস থুরাম (বরুসিয়া মনচেনগাল্ডবাখ), ওসুমান ডেম্বেলে (বার্সেলোনা)
ফরোয়ার্ড- অ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান (বার্সেলোনা), কিলিয়ান এমবাপে (পিএসজি), উইসাম বেন ইয়েদ্দার (এএস মোনাকো), করিম বেঞ্জিমা (রিয়াল মাদ্রিদ), অলিভিয়ার জিরু (চেলসি)।
সম্ভাব্য একাদশ: লরিস, পাভার্ড, ভারানে, কিমপেমবে, লুকাস হার্নান্ডেজ, পল পোগবা, এনগোলো কান্তে, গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপে, করিম বেঞ্জিমা, কোমান।
সম্ভাবনা: তারিখটা ছিল ১১ জুলাই ২০১৬। ফেভারিটের তকমা নিয়েই স্তাদ দ্য ফ্রান্সে পর্তুগালের বিরুদ্ধে ইউরো ফাইনাল খেলতে নেমেছিল ফ্রান্স। প্রায় গোটা ফুটবলবিশ্ব ধরেই নিয়েছিল নিজভূমিতে ফ্রান্সই চ্যাম্পিয়ন হবে। তবে না। আবারও প্রমাণিত হয়েছিল ফুটবল মানেই অনিশ্চিত এক গ্রহ। একস্ট্রা টাইমে এডারের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ফ্রান্সের। গ্যালারিতে উপস্থিত প্রতিটা ফ্রান্স ভক্তই যেন এক টুকরো হতাশা সঙ্গে নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। আঁতোয়া গ্রিজম্যান থেকে পল পোগবা। ফ্রান্সের প্রতিটা ফুটবল তারকা সে দিন অঝোরে কেঁদেছিলেন।
সেই অভিশপ্ত দিনের পর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। আবার আর এক ইউরো এসে হাজির। আর ব্লকবাস্টার ফুটবল টুর্নামেন্টে নামার আগে ফ্রান্সের লক্ষ্য একটাই– পার্ক দ্য ফ্রান্সের ট্র্যাজেডির রেশ কাটিয়ে ইউরোপ সেরা হওয়া। আসন্ন ইউরোয় দিদিয়ের দেশঁর দলকে সামলাতে হবে মারণ গ্রুপের চ্যালেঞ্জ। নকআউটে উঠতে হলে হারাতে হবে জার্মানি, পর্তুগালের মতো দলকে। তবে দিদিয়ের দেশঁ আত্মবিশ্বাসী মেজাজেই রয়েছে।
ধরা হচ্ছে পর্তুগাল ছাড়া এ বারের ইউরো জয়ের আর এক অবিসংবাদী ফেভারিট ফ্রান্স। কেন ফ্রান্স ফেভারিট? মূলত তিনটে কারণ তুলে ধরছেন বিশেষজ্ঞরা। এক, ফ্রান্স দলটা খুবই ব্যালান্সড। প্রতিটা পজিশনেই বিশ্বমানের ফুটবলার আছেন। দলে তেমন কোনও দুর্বলতা নেই। দুই, কিলিয়ান এমবাপে। তরুণ ফরোয়ার্ডই নাকি ফ্রান্স দলের ছবিটা পালটে দিয়েছেন এমনটাই মানছেন দেশঁ। এ বার তিন নম্বর কারণে আসা যাক। হ্যাঁ, করিম বেঞ্জিমা। দেশঁর সঙ্গে সমস্যার জেরে বেঞ্জিমাকে নির্বাসিত করা হয়েছিল জাতীয় দল থেকে। তবে সেই শৈত্য কাটিয়ে আবার বেঞ্জিমা ফিরেছেন ফ্রান্স দলে। সব মিলিয়ে তৈরি ফ্রান্স। এ বারের ইউরোর রং কি হবে নীল এখন সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.