স্টাফ রিপোর্টার: ইউরোতে (Euro 2020) খেলার পর থেকেই তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ক্রমাগত মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনলেন আলভারো মোরাতা (Alvaro Morata)। সেই সঙ্গে স্প্যানিশ ফুটবলার জানিয়ে দিলেন, তাঁকে বর্তমানে বিনিদ্র রাত কাটাতে হচ্ছে। যা মানতে পারছেন না তিনি।
ইউরোয় শুরু থেকেই স্পেন মোটেই সুবিধে করতে পারছিল না। বিশেষ করে প্রথম দু’টো ম্যাচ সুইডেন, পোল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে বসার পর বিশ্ব ফুটবলে হইচই পড়ে যায়। স্লোভাকিয়াকে গোলের মালা পরিয়ে অবশেষে শেষ ষোলোতে ঢুকে পড়ে স্পেন। ২৮ জুন স্প্যানিশরা মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়ার। এমনিতেই দু’টো ম্যাচ ড্র করার পর লুইস এনরিকের দলকে নিয়ে সমালোচনার ঢেউ ওঠে। তার উপর স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে শুরুতে পেনাল্টি মিস করে বসেন মোরাতা। তখন গোলশূন্য চলছিল। তাতেই আগুনে ঘৃতাহুতি হয়ে যায়। ফলে মোরাতার তিন ছেলে ও স্ত্রী সহ পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ক্রমাগত উড়ো ফোন আসতে থাকে। পোল্যান্ড ম্যাচের পর থেকে যা শুরু হয়েছিল। “হতে পারে আমার পারফরম্যান্স সমর্থকরা মন থেকে মেনে নিতে পারছিল না। বুঝতে পারছিলাম, গোল করতে পারছি না বলে সমর্থকরা সমালোচনা করছিলেন। তাই বলে প্রাণনাশের হুমকির সামনে পড়ব, ছেলেদের মেরে ফেলার কথা বলা হবে, এসব ভাবতেই পারছি না।”
সেই সঙ্গে মোরাতা আক্ষেপের সুরে বলেছেন, ড্রেসিংরুমে তাঁর ফোন কাছে থাকত না। “প্রচুর অ্যাড্রিনালিনের জন্য ঠিকমতো ঘুমোতে পারিনি। পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় আমার সমালোচনা হচ্ছে দেখে আমি খুশি। তবে ওয়ার্ম আপ শুরুর আগেই আমাকে শিস দিয়ে অনেকে অপমান করার চেষ্টা করেছে। পেনাল্টি নষ্ট করায় ব্যাপারটা খুব গুরুতর পর্যায়ে চলে গিয়েছে,” বলেন মোরাতা। তবে ইউরো শুরুর আগে থেকেই জুভেন্তাস স্ট্রাইকারকে অপমান সহ্য করতে হচ্ছিল। পর্তুগালের সঙ্গে ফ্রেণ্ডলি ড্র করার পর বেশ কিছু সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় বলতে থাকেন, মোরাতা ঠিক কতটা খারাপ। মোরাতার বক্তব্য খুব পরিষ্কার, “আসলে অনেকে শিস দিলে বাকিরা মজা পায়। সব বুঝতে পারি। আসলে আমি যা-ই বলি না কেন, অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। এখন আমার সামনে দু’টো পথ খোলা। হয় চুপ থাকা নয়তো সব খোলাখুলি বলা। জানি আমাকে সচেতন হতে হবে। অনেকে চায় আমার ক্ষতি করতে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.