স্টাফ রিপোর্টার: শতবর্ষে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেবে ইস্টবেঙ্গল। অনুষ্টানের দিন অবশ্য ঘোষণা হয়নি। তাঁর সঙ্গে কথা বলে দিন ঠিক হবে। বাঙালি অর্থনীতিবিদের নাম নোবেল প্রাপক হিসাবে ঘোষণার পর কলকাতার দু’প্রধান সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, সংবর্ধিত করা হবে বিশ্বের বুকে বাংলার সম্মান তুলে ধরা এই কৃতী বাঙালিকে। মোহনবাগানের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও ইমেল করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলা হয়েছে, ক্লাবের শতবর্ষে তাঁকে সংবর্ধনা দিয়ে গর্বিত হতে চায় ইস্টবেঙ্গল।
লাল-হলুদের কর্তারা অভিজিতের মা’ নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, অভিজিৎবাবুর পক্ষে এখনই সময় বার করা সম্ভব হবে না। কর্তারা তখন জানান, এক বছর ধরে পালিত হবে ক্লাবের শতবর্ষ। বছরের যে কোনও সময় নোবেল জয়ীর সময় পেলে হবে। আপাতত সরকারিভাবে আমন্ত্রণ জানানো হল। লাল-হলুদ তাঁবুতে অভিজিতের পদার্পণ সময়ের অপেক্ষা।
ইতিপূর্বেই মোহনবাগানের তরফে অভিজিৎবাবুকে সংবর্ধনা দিতে চেয়ে একটি চিঠি লেখা হয়েছে। ক্লাবের সচিব স্বপনসাধন বোস নোবেলজয়ীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তাঁকে সংবর্ধনা দিতে চায় ক্লাব। সেই সঙ্গে তাঁকে মোহনবাগানের আজীবন সদস্যপদ দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। টুটু বোসের দেওয়া চিঠিতে জানানো হয়েছে, মোহনবাগান ক্লাব নোবেলজয়ীকে সম্মান দিতে চায়। ভারতে ফেরার পর তাঁর ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যে যদি তিনি একটু সময় বার করে মোহনবাগান ক্লাবে পা রাখেন, তাহলে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্মাননা এবং আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার মোহনবাগান সচিব এই চিঠি অভিজিৎবাবুর উদ্দেশে পাঠান। তবে, নোবেলজয়ীর তরফে এখনও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
অভিজিৎবাবু শুক্রবার রাতে দেশে ফিরেছেন। শনিবার তিনি যান দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। একাধিক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। তবে, আপাতত তিনি কলকাতার দুই প্রধানকে সময় দিতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.