ইস্টবেঙ্গল: ৩ (জেসিন, সায়ন ২)
জর্জ টেলিগ্রাফ: ১ (অমিত এক্কা)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ময়দানের ঘরের মাঠে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। স্টেডিয়ামে ফিরল লাল-হলুদ পায়রো শো। আর জয়ের ধারাও অব্যাহত রাখল সায়ন-নাসিবরা। পিছিয়ে পড়েও জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)।
প্রথম ম্যাচে টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে ৭-১ গোলে হারিয়ে সিএফএল (Calcutta Football League) অভিযান শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও সেই ম্যাচ হয়েছিল ব্যারাকপুরের স্টেডিয়ামে। দুরন্ত পারফর্ম করে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন জেসিন-সায়নরা। সেই ফর্ম ধরে রাখার জন্য একঝাঁক তরুণ ফুটবলারের সঙ্গে এদিন সার্থক গলুইকেও প্রথম দলে রেখেছিলেন কোচ বিনো জর্জ। প্রথম দলে ছিলেন না সায়ন। কিন্তু বলের দখল রাখা আর গোল পাওয়া এক জিনিস নয়। দুই উইং দিয়ে বার বার ঢোকার চেষ্টা করেও কাজের কাজ করতে পারছিলেন না জেসিনরা। বরং ৩৪ মিনিটে আচমকাই গোল খেয়ে বসে লাল-হলুদ বাহিনী। দূরপাল্লার শট অমিত এক্কার গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। কিছুই করার ছিল না ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার আদিত্য পাত্রর।
দ্বিতীয়ার্ধে বাধ্য হয়েই সায়নদের নামান কোচ বিনো জর্জ। যার ফল পাওয়া গেল ৪৭ মিনিটেই। নাসিবের দূরপাল্লার শট বারে লেগে ফিরে আসে। সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকারের মতো বক্সের সামনেই অপেক্ষা করছিলেন জেসিন। ফাঁকায় বল পেয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করে গোল করে যান গত ম্যাচের নায়ক। ফের গোল আসে ৬৫ মিনিটে। ডান দিক থেকে আসা ক্রস সেকেন্ড পোস্টে জালে জড়িয়ে দেন সায়ন। যদিও ম্যাচের ৮০ মিনিটে সার্থকের ভুল থেকে সুযোগ পেয়েছিল জর্জ। কিন্তু কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ফের গোল করেন সায়ন। এবার নেপথ্য নায়ক নাসিব। বাঁদিকে বল ধরে জর্জের দুই প্লেয়ারকে একটা ভাঁজেই মাটি ধরালেন তিনি। ফাঁকায় বল ঠেলে দিলেন সায়নের দিকে। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ইস্টবেঙ্গল।
এদিন লাল-হলুদের বক্সে উপস্থিত ছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। ডুরান্ডের শুরুর তারিখও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্র্যাকটিসে নেমে গিয়েছে মূল টিমও। কলকাতা লিগের জয় থেকে কি রসদ খুঁজে পেলেন স্প্যানিশ কোচ? লিগ জয়ের চেষ্টার পাশাপাশি সেটার অপেক্ষাতেই থাকবে লাল-হলুদ জনতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.