ফাইল ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার : আনোয়ারকে বিশাল জরিমানা করা হলে শেষ দেখে ছাড়বে ইস্টবেঙ্গল। এর জন্য যত দূর যাওয়ার তারা যাবে। প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির তরফ থেকে আগের বৈঠকের পরই আনোয়ারকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তাঁকে আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হবে। জরিমানার অঙ্কটা আনোয়ার আর ইস্টবেঙ্গলকে ভাগ করে দিতে হবে। এখন দেখার যে, প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি কী পরিমাণ জরিমানা করে? যদি দেখা যায় জরিমানা খুব বেশি নয়, তাহলে হয়তো কোনও লড়াইয়ের পথে যাবে না ইস্টবেঙ্গল। জরিমানা দিয়ে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু জরিমানার অঙ্কটা বিশাল হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে তারা ফিফাতে যেতে পারে। আবার আদালতেরও দ্বারস্থ হতে পারে।
ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে যে সব আইনজীবীরা পুরো ব্যাপারটা দেখছেন, তাঁদের মনে হয়েছে আনোয়ার ইস্যুতে যতটা মোহনবাগান দায়ী, তার চেয়ে অনেক বেশি দোষ ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। কারণ লোন-চুক্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে ফিফা ২০২২ সালে সার্কুলার জারি করেছিল। আর মোহনবাগান আনোয়ারের সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করে ২০২৩-এ। অর্থাৎ ওই সার্কুলার কোনও ক্লাবকেই জানায়নি ফেডারেশন। তাহলে সম্পূর্ণ দোষ ফেডারেশনের। যদিও ফেডারেশন জানিয়েছে যে ২০২৫ থেকে ওই সার্কুলার কার্যকর করা হবে। সেটা ধরলেও আনোয়ারের সঙ্গে মোহনবাগানের চার বছরের লোন চুক্তি বৈধ হচ্ছে না। তাছাড়া আনোয়ার এখন এমনিতেই ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার। লাল-হলুদের তরফ থেকে যুক্তি হল, যে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার, তাঁকে মোহনবাগানের চুক্তিভঙ্গের কীভাবে জরিমানা করা সম্ভব হবে? তারা এটাও মনে করছে যে ফেডারেশনের ভুলের জন্য তাদের জরিমানা দিতে হবে! ইস্টবেঙ্গল এখন অপেক্ষা করছে জরিমানার পরিমাণ জানার জন্য। প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির তরফ থেকে সেটা জানিয়ে দেওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তারা একবারে প্রস্তুত। সবমিলিয়ে আনোয়ারের জরিমানা নিয়ে কিন্তু খুব সহজে সমস্যা মিটবে বলে মনে হয় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.