Advertisement
Advertisement

জমেছিল অনেক বঞ্চনা, না পাওয়ার বেদনা, বেঙ্গালুরুতে জয়ের পরে আনন্দাশ্রু সমর্থকদের, ভিডিও ভাইরাল

কলকাতার বাইরে এসে ইস্টবঙ্গল দাপট দেখাচ্ছে এটাই সমর্থকদের কাছে বড় ব্যাপার।

East Bengal supporters broke down in tears in Sree Kanteerava Stadium after win against Bengaluru FC in ISL | Sangbad Pratidin
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:November 12, 2022 5:58 pm
  • Updated:November 12, 2022 7:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গল-বেঙ্গালুরু (East Bengal vs Bengaluru FC) ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পরে আবেগের বিস্ফোরণ দেখা গেল কান্তিরাভার গ্যালারিতে। দুই ইস্টবেঙ্গল সমর্থক নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তাঁদের ভেজা চোখের ছবি, হাপুস নয়নে কাঁদার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই দুই সমর্থকের চোখের জল শোকের নয়। আনন্দের। অনেক কিছু না পাওয়ার থেকেই আবেগের এই বিস্ফোরণ বলেই মনে হয়। 

এই দুই সমর্থক খুবই সাধারণ ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। এর বেশি কিছু নয়। তাঁদের ক্রন্দনরত মুখের ছবি ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র, এটাও তাঁরা চাননি। তাঁদের নাম ছড়িয়ে পড়ুক, চটজলদি পরিচিত হয়ে যান এমন উদ্দেশ্যও ছিল না। ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত সমর্থকদের আবেগের সমষ্টিগত বহিঃপ্রকাশই এই কান্না। বলা ভাল, এই কান্না ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত সমর্থকদেরই। 

Advertisement

ওই দুই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের কান্নার পিছনে থাকতে পারে অনেক কারণ। গত কয়েকবছর ধরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ভাল খেলছে না। পারফরম্যান্স বলার মতো নয়। সমর্থকরা ঝড়-জল-বৃষ্টি মাথায় করে মাঠে যান। কিন্তু  প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। প্রিয় ক্লাব জিতলে সমর্থকদের আনন্দ হয়। তাঁরা বুক ভরে শ্বাস নেন। প্রফুল্ল চিত্তে ঘরে ফেরেন। মনটা খুশি খুশি হয়। এই অনুভূতির খোঁজেই সমর্থকরা মাঠে যান, ক্লাবের হয়ে গলা ফাটান। একজন সমর্থক এর বেশি আর কীইবা চাইতে পারেন। কিছু চানও না। 

[আরও পড়ুন: ‘বিধ্বংসী আক্রম সেদিন আমাদের শেষ করে দিয়েছিল’, তিরিশ বছর আগের ফাইনাল নিয়ে নস্ট্যালজিক ক্রিস লুইস]

 

লাল-হলুদের ওজন সবার জানা। নামের গুরুত্বও অসীম। কিন্তু গত কয়েক বছরে অনেক ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, অসম্মান সহ্য করতে হয়েছে সমর্থকদের। আইএসএলে (ISL) এখনও পর্যন্ত ৪৬টি ম্যাচ খেলেছে লাল-হলুদ।  জিতেছে মাত্র ৬টায়। এই পরিসংখ্যান ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যায় কি? সকলের অলক্ষ্যে চোখের জল ফেলেছেন সমর্থকরা। কিন্তু ভেবে দেখুন এটা কি আদৌ প্রাপ্য ছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের? ইস্টবেঙ্গল কি এতটা অসম্মান ডিজার্ভ করে? অনেক যন্ত্রণা, লাঞ্চনা, ঘরের-বাইরে অপমান সহ্য করেছেন সমর্থকরা। সেই সব দুঃখ, কষ্ট ভোলার জন্য একটা জয়ের খুবই দরকার ছিল। সেই জয়টাই এসেছে কান্তিরাভায়। আর তার ফলেই আবেগ, আবেগ আর আবেগ। 

কলকাতার বাইরে এসেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকরা দাপট দেখাচ্ছেন, সবুজ মাঠে লাল-হলুদ খেলোয়াড়রা দক্ষতার সঙ্গে খেলতে পারেন, এটাই তো সমর্থকদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার। এর জন্যই তো খেলা দেখা। এর জন্য হাজার মাইল অতিক্রম করে আসা যায়। এই ছবিটাই দেখা যাচ্ছিল না এতদিন। দু’ বছর আইএসএল খেলছে ইস্টবেঙ্গল। ৪৬টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ছ’টায় জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। সর্বভারতীয় স্তরে কোনও ট্রফি নেই দীর্ঘদিন, সাফল্য নেই। লাল-হলুদ ক্লাব মোটেও ভাল নেই। একথা বলতে গেলে সমর্থকদের গলায় জমা হচ্ছে আবেগের বাষ্প। দলা পাকিয়ে আসছে কান্না। ভেবে দেখুন, কোন অবস্থায় এসে পৌঁছেছে ইস্টবেঙ্গল যে একটা জয় এখন এতটা আনন্দ দিচ্ছে সমর্থকদের।

 

চিরপ্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ে বারবার হেরেই চলেছে ইস্টবেঙ্গল। জয় আসছে না। প্রিয় দল হারার যন্ত্রণা, কষ্ট, সবই তো এসে আছড়ে পড়ে সমর্থকদের উপরে। পড়ছেও। তাই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জেতার পরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সমর্থকদের মনে। এই মুহূর্তটার আবেগ শরীরে মেখেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা এখন বাড়ি ফিরছেন। একজন সমর্থক এর বেশি আর কীইবা চাইতে পারেন!

[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের সেরা ৯ তারকার নাম ঘোষণা আইসিসির, তালিকায় ভারতের দুই]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement