দুলাল দে: সেই যে ঘোষণা হল। তারপর থেকে কোচ লোবেরা (Sergio Lobera) সম্পর্কে কোনও আপেডট নেই লাল-হলুদ থেকে। লক্ষ লক্ষ লাল-হলুদ সমর্থকের মনে প্রশ্ন, ঠিক কোথায় আটকে আছে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সের্জিও লোবেরেরা চুক্তি? এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে লেবেরার ইস্টবেঙ্গলের কোচের চেয়ারে বসার সম্ভাবনা পঞ্চাশ-পঞ্চাশ।
সম্ভাবনার পঞ্চাশটুকুও ঠিক থাকবে কি না, তাও নিশ্চিতভাবে জানার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। লোবেরা তেমনই জানিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তাদের। এইবার ইস্টবেঙ্গল কর্তারা লোবেরাকে পাওয়ার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করবেন না, এখনই অন্য কোচের দিকে ঝুঁকে পড়বেন, সেটা ক্লাবের আর বিনিয়োগকারী কর্তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ক্লাব এবং বিনিয়োগকারী কর্তারা ঠিক করেছেন, লোবেরার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করবেন। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেবেন, নতুন কোন কোচের দিকে যাওয়া হবে। ইস্টবেঙ্গল এবং লোবেরার মধ্যে এখন ঢালের মতো দাঁড়িয়ে শুধুই চিনের ক্লাব ‘সিচুয়ান।’ সেখান থেকে ছাড়পত্র পেলে লোবেরা ইস্টেঙ্গলের (East Bengal)। ছাড়পত্র না পেলে আর ইস্টবেঙ্গল কোচের চেয়ারে বসা সম্ভব হল না। অর্থ অথবা অন্য কোনও ক্লাবের প্রস্তাব কোনও সমস্যাই নয়।
ক্লাব এবং বিনিয়োগকারী কর্তারা মিলে লোবেরার নাম সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর যখন প্রস্তাব দেওয়া হল, তখন লাল-হলুদের প্রস্তাবে সম্মতি দেন স্প্যানিশ কোচ। এমনকী, লোবেরার সঙ্গে কথা বলে তাঁরই শর্ত মতো চুক্তিপত্রও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর তারপরেই চিনের ক্লাব সিচুয়ানের থেকে ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে সমস্যা শুরু। এই মুহূর্তে বায়োবাবলের মধ্যে থেকে কোচিং করতে হচ্ছে বলে, চিন ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন লোবেরা। কিন্তু কথাবার্তা চলার মাঝেই যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারিত হয়ে যায়, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে লোবেরেরা চুক্তি হয়ে গিয়েছে, তাতে স্প্যানিশ কোচ কিছু জানানোর আগেই চিনের ক্লাবটি জেনে যাওয়ায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে যায়। সিচুয়ানের কর্তারা ভাবেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের চুক্তিতে সই করে লোবেরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন।
চিনের ক্লাবে লোবেরাকে পাঠিয়েছে সিটি গ্রুপ। সিটি গ্রুপের পক্ষ থেকেও লোবেরাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তিনি যা-ই করুন, সিচুয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রেখেই করতে। তাড়াহুড়ো করে চিনের ক্লাব থেকে লোবেরার পক্ষে ছাড়পত্র পাওয়া মুশকিল। যদি এই নিয়ে সিচুয়ান কর্তাদের ক্রমাগত চাপ দিতে থাকেন, তাহলে চিনের ক্লাবটির কর্তাদের মনে হতে পারে, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সব কিছু চূড়ান্ত করে তিনি ছাড়পত্র নিতে এসেছেন। তাই তাড়াহুড়ো করতে রাজি নন লোবেরা। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের জানিয়েছেন, কিছুদিন অপেক্ষা করতে। তার মানে এই নয় যে, তিনি আসবেনই। সমস্যা সমাধান করে আসতেও পারেন। আবার না-ও পারেন। কিন্তু তাঁকে পেতে হলে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.