সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে যখন ক্লাবের শতবর্ষ পালনের উৎসবে সেজে উঠছে গোটা ইস্টবেঙ্গল তাঁবু, ঠিক তখনই ক্লাবের ইনভেস্টরদের ভবিষ্যত প্রশ্নের মুখে। শোনা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারী সংস্থা হিসেবে শীঘ্রই সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে কোয়েস।
সূত্রের খবর, সোমবারই এনিয়ে মুখ খোলেন সংস্থার চেয়ারম্যান অতিজ আইজ্যাক। ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠা দিবস। তারপরই নাকি সরকারিভাবে তাঁরা নিজেদের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। ইতিমধ্যে এনিয়ে নোটিসও পাঠানো হয়েছে। একাধিক বিষয়ে ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে মতানৈক্য ও বচসার জেরেই ইনভেস্টর হিসেবে আর না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোয়েস। সংস্থার চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য সামনে আসতেই ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক সমস্যার কারণেই হয়তো সরে যেতে চাইছে কোয়েস। সরকারিভাবে এমন কোনও ঘোষণা করলে তাঁরা সংস্থার সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান এক শীর্ষ কর্তা।
রবিবার শতবর্ষের শোভাযাত্রায় হাজার হাজার সমর্থকদের গায়ে দেখা গিয়েছে ‘কিংফিশারের’ লোগো দেওয়া লাল-হলুদ জার্সি! এমনকী ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, সুভাষ ভৌমিক, চন্দন দাস থেকে আলভিটো ডি’কুনহা। সবাই যে জার্সি পরিহিত তাতেও ‘কিংফিশারের লোগো!’ তারপরই গুঞ্জনটা শুরু হয়। তবে কি কোয়েসের বদলে ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর হতে চলেছে কিংফিশার?
কোয়েসের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্ক এখন যে অহি-নকুলের, তা আর নতুন করে বলার দরকার নেই। তাহলে নতুনটা কী? নতুনটা এই যে, রবিবার ক্লাবের আকাশে-বাতাসে একটাই বার্তা ঘুরে বেড়িয়েছে, ক্লাবের সঙ্গে কোয়েসের সম্পর্ক হয়তো এই মরশুমেই শেষ। শোনা যাচ্ছে, ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কে নাকি ক্রমশ হতাশ হয়ে উঠছেন কোয়েস চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাক। সঙ্গে দলের জন্য খুব বেশি আর খরচও করতে চাইছেন না তাঁরা। নাহলে জবি, চুল্লোভা শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে অন্যদলে চলে যান! কিন্তু লাল-হলুদের সঙ্গে কোয়েসের এরকম কোনও চুক্তি নেই যে, নির্দিষ্ট সময়ের পর চুক্তি শেষ হবে। কোয়েস ৭০ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার। যতক্ষণ না অজিত আইজ্যাক চাইবেন, তাঁকে কেউই ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দলের অধিকার থেকে সরাতে পারবেন না। ফলে আইনের ফাঁকে পড়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা বারবার বলছেন, “তাড়াহুড়ো করে চুক্তি করতে গিয়েই ভুলটা হয়ে গিয়েছে। বুঝতে পারিনি কোয়েস শেষপর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো হয়ে যাবে।’’ তাহলে উপায়? সেই পরিস্থিতি তৈরি করা, যাতে ওরা নিজেরাই ছেড়ে যায়।
ক্লাবের দাবি, কোয়েস একের পর এক এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যাতে সমর্থকরা ক্রমশ কোয়েস বিরোধী হয়ে যাচ্ছেন। এবার ইস্টবেঙ্গল কর্তারা যে পালটা লড়াইয়ে যাবেন, তা সম্ভব একমাত্র বিকল্প স্পনসর পেলে। তার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কথাবার্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সেক্ষেত্রে পুরনো বন্ধু ‘কিংফিশারই’ সবচেয়ে ভাল। কিছুদিন আগে কলকাতায় কিংফিশারের বোর্ড মিটিং হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও। এমনকী ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার স্বীকার করেন, কিংফিশারের বোর্ড মিটিংয়ে সোমবার বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা। যেরকম শোনা যাচ্ছে, তাতে বিরক্ত অজিত আইজ্যাক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.