স্টাফ রিপোর্টার: প্রত্যাশামতোই প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনের রাস্তায় নামল ইস্টবেঙ্গল।
ফেডারেশনের নিয়ম হল অ্যাপিল কমিটিতে আবেদন করতে হলে শাস্তি ঘোষণার তিনদিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে জানাতে হয়। রবিবার সেই কাজটাই করলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ফেডারেশন সচিব কুশল দাসকে চিঠি দিয়ে বললেন, “প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অ্যাপিল কমিটিতে আমরা আবেদন করব।”
ছুটির দিনে প্র্যাকটিসে ছুটি থাকলেও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। সুখদেব সিংকে কেন্দ্র করে ফেডারেশন যেভাবে শাস্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে ক্লাবকে সেখান থেকে কীভাবে বার হওয়া যায়। আর তাতেই লাল-হলুদ কর্তারা বলেন, “সুখদেব সিংকে নিয়ে যদি লড়াইটা ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে মোহনবাগানের না হয়ে অন্য ক্লাবের হত, তাহলে নাহয় একটা কথা ছিল। কিন্তু সুখদেব সিংকে কেন্দ্র করে লড়াইটা যেহেতু ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের মধ্যে, তাহলে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে বসে কীভাবে সুখদেব সিংয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রদীপ চৌধুরি। কেননা কিছুদিন আগেই এই প্রদীপ চৌধুরিকেই মোহনবাগান রত্ন দিয়েছেন সবুজ-মেরুন কর্তারা।
অভিযোগের এখানেই শেষ নয়। যে মিনার্ভা কর্ণধার রঞ্জিৎ বাজাজকে কিছুদিন আগেই নির্বাসিত করেছিল ফেডারেশন, সেই রঞ্জিৎ বাজাজ প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই কীভাবে ইস্টবেঙ্গলের দুই কর্তাকে আক্রমণ করেন? তাহলে কি তিনি আগেই জানতেন এরকম হচ্ছে? আর লিবেরো স্পোর্টসের এজেন্ট সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ফেডারেশনের হাতে তুলে দিলেও অদ্ভুতভাবে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির রিপোর্টে একটি কথাও নেই। যদিও প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে যেমন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছিল, সেরকম সুখদেব সিংয়ের এজেন্ট লিবেরো স্পোর্টসকেও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ফুটবলারটির এজেন্ট ফেডারেশনের ডাকে সাড়া দিয়ে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত থাকেনি। ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের অভিযোগ, লিবেরো স্পোর্টসের প্রতিনিধি নুলা ২৫ মার্চ আলভিটো ডি’কুনহাকে মেল করে জানান, তিনি মিনার্ভা পাঞ্জাব এফসি থেকে সুখদেব সিংয়ের এনওসি জোগাড় করে দেবেন। এরজন্য ২৫ শতাংশ ট্রান্সফার ফি দিতে হবে। পরে এর পরিমাণটা বেড়ে যেতে পারে মনে করে তখনই ফুটবলারটিকে সই করানোর ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গলকে জোর দেন নুলা। তাহলে যাবতীয় কথা সুখদেবের এজেন্ট বললে ইস্টবেঙ্গল কেন শাস্তি পাবে? একইসঙ্গে ছ’মাসের আগে এজেন্ট ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলতে পারবে না এরকম কোনও নিয়ম ফেডারেশনের আইনে নেই। পাশাপাশি শাস্তিদানের ক্ষমতা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির আদৌ আছে নাকি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ইস্টবেঙ্গলে। প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির শাস্তি ঘোষণা নিয়ে যেহেতু এত প্রশ্ন উঠছে, সেই কারণেই এদিন দ্রুত ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে রাখল লাল-হলুদ, যাতে দ্রুত ব্যাপারটা অ্যাপিল কমিটিতে তোলা যায়। এরইমধ্যে রবিবার রাতে শহরে এসে গেলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বোরহা। তাঁর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সমস্যা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.