দুলাল দে: ধারাবাহিকভাবে ইস্টবেঙ্গলের প্রতি অবিচার! অযোগ্য ফেডারেশন! এবার সরাসরি ক্রীড়ামন্ত্রকে নালিশ জানাতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার একযোগে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্লাবের প্রতি অবিচার নিয়ে সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের তিন শীর্ষকর্তা রূপক সাহা, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় এবং দেবব্রত সরকার।
ইস্টবেঙ্গলের বক্তব্য, “আইএসএল একটা প্রাইভেট লিগ। প্রাইভেট কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত শীর্ষ লিগ শুধুমাত্র ধনী আর ক্ষমতাশীল বন্ধুদের সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে।” লাল-হলুদ শিবিরের শীর্ষকর্তাদের বক্তব্য, “হয়তো আইএসএল কর্তৃপক্ষের মাথায় রয়েছে ওয়ান সিটি ওয়ান টিম পরিকল্পনা। তাই হয়তো ইস্টবেঙ্গলের প্রতি অবিচার হচ্ছে।” লাল-হলুদ কর্তারা জানিয়েছেন, ফেডারেশনের প্রতি আস্থা নেই তাঁদের। এবার সরাসরি ক্রীড়ামন্ত্রকে অভিযোগ জানানো হবে।
গুয়াহাটিতে ডার্বি হারার পর থেকেই নিয়মিত রেফারিকে কাঠগড়ায় তুলে আসছে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের পরই সোজা রেফারির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো। কোনও রাখঢাক না করেই বলেন, ‘‘আপুইয়ার হাত দিয়ে বল আটকানোটা নিশ্চিত পেনাল্টি। মোহনবাগান সুবিধে পেয়েই যাচ্ছে।’’ তবে শুধুই আপুইয়ার হাত দিয়ে বল আটকানোয় পেনাল্টির দাবিতেই থেমে থাকেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ। বললেন, ‘‘সৌভিক কিছুতেই আজ দুটো হলুদ কার্ড দেখে না। রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে ঠিক করেননি।’’
ইস্টবেঙ্গল কোচ দাবি করেন, একটা দুটো নয়। ইস্টবেঙ্গল নিয়মিত রেফারির খারাপ পারফরম্যান্সের শিকার হচ্ছে। পরিসংখ্যানও সে কথা বলছে। চলতি আইএসএলে সবচেয়ে বেশি লাল-কার্ড দেখেছে ইস্টবেঙ্গল। ১৪ ম্যাচে ৭টি। ফাউল, হলুদ কার্ডেও উপরের সারিতে লাল-হলুদ। লাল-হলুদ সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছেন, শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের প্রতি অবিচার হচ্ছে। এর আগে কোচ ব্রুজো নিজেও বলেছিলেন, রেফারিরা ইস্টবেঙ্গলকে ছোট দল হিসাবে ধরছে। এবার সমর্থকদের সুরে সুর মিলিয়ে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব আওড়ালেন খোদ ক্লাবের শীর্ষকর্তারা। সাংবাদিক সম্মেলন করে দেবব্রত সরকাররা বলে গেলেন, “ইস্টবেঙ্গলের প্রতি অবিচার হচ্ছে। এবার প্রতিকার চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.