সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের শেয়ারহোল্ডার থেকে বাদ পড়তে চলেছেন প্রাক্তন ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য। ক্লাবের পক্ষ থেকে শেয়ার হোল্ডার হিসেবে যে চারজন ইস্টবেঙ্গলের বোর্ডে আসছেন, তাঁরা হলেন সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত, সচিব কল্যাণ মজুমদার, শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এবং কার্যকরী কমিটির অন্যতম কর্তা সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। মূলত এঁনাদের উদ্যোগেই কোয়েস গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাই ক্লাবের তিন প্রধান কর্তার সঙ্গে সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়কেও শেয়ার হোল্ডার করা হচ্ছে। আর প্রাক্তন ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য কিংফিশার ইস্টবেঙ্গলের সময় সবচেয়ে বেশি শেয়ার হোল্ডার থাকলেও, কোয়েস ইস্টবেঙ্গলে কোনওরকম শেয়ার পাননি।দলের অন্যান্য পজিশনে বিদেশি ঠিক হয়ে গেলেও এখনও স্ট্রাইকার পজিশনে বিদেশি ঠিক না হওয়ার অন্যতম কারণ, দু’পক্ষ এখনও পর্যন্ত এক জায়গায় আসতে না পারা। চুক্তি অনুযায়ী কোয়েসের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বিদেশি স্ট্রাইকারের বায়োডাটা আনা হয়েছে। সেরকম ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও বেশ কিছু বিদেশি স্ট্রাইকারের নাম শর্টলিস্ট করেছে। এবার দু’পক্ষ আলোচনা করে একজনকে বেছে নেবে।
এর আগে ইউবি মূল স্পনসর হলেও, ফুটবলার নির্বাচনের ব্যাপারে কোনওরকম মাথাই ঘামাত না। কোয়েসের পক্ষ থেকে কিন্তু প্রতি মুহূর্তে ফুটবল দলের ভাল-মন্দর ব্যাপারে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। আর এই সূত্রেই এই মরশুম থেকেই ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার চেষ্টা শুরু। কিন্তু মুম্বই গিয়ে ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেল এবং আইএমজিআর কর্তা সুন্দর রামনের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল এবং কোয়েস কর্তাদের মিটিংয়ের পর বলা যাচ্ছে না, এই মরশুম থেকেই আইএসএলে খেলার সুযোগ পাবে ইস্টবেঙ্গল।
কিছুদিন আগে মুম্বইয়ে হওয়া মিটিংয়ের যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার আইএসএল খেলা নিয়ে ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলের সঙ্গে মিটিং করলেও, সুন্দর রামনের সঙ্গে মিটিং করেছেন কোয়েসের কর্তারা। প্রফুল্ল প্যাটেল ইস্টবেঙ্গল শীর্ষ কর্তাকে বলেন, “আইএসএলে খেলার ব্যাপারটা সরাসরি আইএমজিআর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করলেই ভাল। কেন না, ইস্টবেঙ্গল এই মরশুমে আইএসএলে খেলবে কি না, তা ঠিক করবে একমাত্র আইএমজিআর। সেইমতো কোয়েসের কর্তারা মুম্বইতে আইএমজিআর-এর শীর্ষ কর্তা সুন্দর রামনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনার একেবারে শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের তরফে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তাতে এই মরশুমে আইএসএল খেলা কিছুটা অসম্ভবই মনে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের জন্য। তবে পরের মরশুমে খেলার জন্য জমি তৈরি হয়ে রইল বলা যায়। আলোচনায় কোয়েস কর্তারা সুন্দর রামনকে প্রধান যে শর্তটি দিয়েছেন, তা হল, শিলিগুড়ি কিংবা অন্য কোনও শহর নয়। এই মরশুম থেকে আইএসএলে খেলার সুযোগ পেলে ইস্টবেঙ্গল শুধুমাত্র কলকাতা থেকেই খেলবে। আর এখানে গিয়েই মনে হচ্ছে, এই মরশুমেই ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে খেলা যথেষ্ট কঠিন রয়েছে। আর তা নির্ভর করছে পুরোপুরি এটিকের উপর। কেন না, চুক্তি অনুযায়ী এই মরশুমে কলকাতা থেকে শুধু খেলতে পারবে এটিকে। তাছাড়া শুধু ইস্টবেঙ্গলকে আলাদা ভাবে আইএসএলে ঢুকিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। গত মরশুমের মতো এই মরশুমেও তাহলে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে আইএসএলের নতুন দল নেওয়ার জন্য ‘বিড’ ওপেন করতে হবে। তাতে ইস্টবেঙ্গলের পাশে অন্যান্য দলগুলিও আইএসএল খেলার জন্য আবেদন করে দিতে পারে। সেই কারণেই এই মরশুমে শুধু ইস্টবেঙ্গলকে আলাদা করে আইএসএলে খেলানো কঠিন। তাই লাল-হলুদ কর্তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তাড়াহুড়ো না করে এখন থেকে আগামী মরশুমে আইএসএল খেলার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে। কেন না, আইএসএলে খেলার জন্য অন্যান্য ব্যাপার-স্যাপারের সঙ্গে বিশাল আর্থিক ব্যাপারটাও জড়িত। যা পরের মরশুম হলে ধীরেসুস্থে গুছিয়ে নিতে পারবে ইস্টবেঙ্গল। এসব কারণেই এই মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে খেলা প্রায় অসম্ভব।
এদিকে, কলকাতা লিগের আগে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে বিএসএসকে হারিয়ে দিল ৪-০ গোলে। গোলদাতা জবি জাস্টিন, বিদ্যাসাগর সিং, বালি গগনদীপ, সঞ্চয়ন সমাদ্দার। পাশাপাশি মোহনবাগানও বুধবার প্রস্তুতি ম্যাচে তালতলা দীপ্তিকে হারাল ২-১ গোলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.