ইস্টবেঙ্গল: ১ (সামাদ) (২)
গোকুলাম এফসি: ১ (মার্কাস)(৩)
পেনাল্টি শুটআউটে জয়ী গোকুলাম
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে একটিও গোল হজম করেনি গোকুলাম। আর সেটাই ছিল ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রোর সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার বিষয়। কেরলের দলের শক্তিশালী রক্ষণ ভাঙাই ছিল লাল-হলুদ শিবিরের বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েও জয়ের স্বাদ পাওয়া হল না কোলাডোদের। আক্ষরিক অর্থেই বুধবার হাড্ডাহাড্ডি একটি সেমিফাইনালের সাক্ষী রইল যুবভারতী। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চলল সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে ম্যাচ গড়াল এক্সট্রা টাইম হয়ে পেনাল্টি শুটআউটে। আর লড়াই শেষে শেষ হাসি হাসল গোকুলামই।
ডুরান্ডকে বরাবরই আই লিগের প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে দেখে এসেছেন লাল-হলুদ কোচ আলেজান্দ্রো। তাই এই টুর্নামেন্টে জয়ের ধারা বজায় রেখেই লিগ শুরুর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। গ্রুপ পর্বে সেই ছন্দেই দেখা গিয়েছিল তাঁর দলকে। এদিনও শুরুটা মন্দ করেননি বিদ্যাসাগররা। যে গোকুলামের রক্ষণ চিড়তে ব্যর্থ হয়েছে অন্যান্যদল, তাদের বিভ্রান্ত করে লং শটে দুর্দান্ত গোল করেন সামাদ। ভয় ছিল ক্যারিবিয়ান স্ট্রাইকার মার্কাস জোসেফকে নিয়ে। কিন্তু তাঁর জন্য আলাদা পরিকল্পনা করেই নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে তাতেও রক্ষা হল না। নির্ধারিত সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে চলতি ডুরান্ডে ব্যক্তিগত ন’টি গোল করে ফেলেন তিনি। পেনাল্টি শুটআউট মিলিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়ায় দশ।
তবে নিঃসন্দেহে এদিন সমর্থকদের চোখে ভিলেন হয়ে উঠলেন ইস্টবেঙ্গলের মেহতাব। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে কিসেকাকে বক্সে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখেন তিনি। পেনাল্টি উপহার পায় ফের্নান্দো সান্তিয়াগো বারেলার দল। আর সেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি মার্কাস। সেই গোলেই সমতা ফেরে খেলায়। আর ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। সেখানে দু’পক্ষই গোল করতে ব্যর্থ।
তবে পেনাল্টি শুটআউটে যদি কেউ নজর কেড়ে থাকেন, তবে তিনি অবশ্যই গোকুলামের গোলকিপার উমেদ সিকে। তাঁর হাত জোড়াই দলের ত্রাতা হয়ে উঠল এদিন। একের পর এক পেনাল্টি শট আটকে দলকে তৃপ্তির জয় এনে দিলেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল হারায় ডুরান্ডে ডার্বি দেখার স্বপ্নভঙ্গ হল ফুটবলপ্রেমীদের। গোকুলাম খেলবে মোহনবাগান এবং রিয়াল কাশ্মীরের মধ্যে জয়ী দলের সঙ্গে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.