ইস্টবেঙ্গল: ২ (পিন্টু, পেরেজ)
ভবানীপুর: ২ (কামো, জগন্নাথ)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা লিগের ইঁদুর দৌড় আরও জমিয়ে দিল ভবানীপুর। কল্যাণীতে ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দিয়ে মোহনবাগান, পিয়ারলেসের মতো লিগ জয়ের লড়াইয়ে থাকা দলগুলির মধ্যে আশার সঞ্চার করল শংকরলালের দল। অন্যদিকে, ভবানীপুরকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করল আলেজান্দ্রোর ইস্টবেঙ্গল।
জিতলেই লিগ শীর্ষ যাওয়ার সুযোগ, এই পরিস্থিতিতে এদিন খেলতে নামে ইস্টবেহ্গল। একই পরিস্থিতি ছিল ভবানীপুরেরও। তবে, ম্যাচের আগে রেফারিং নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন কোচ শংকরলাল। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল চাইছিল মোহনবাগানের পয়েন্ট নষ্ট করার সুযোগ নিতে। এই পরিস্থিতিতে এদিন শুরুটা ভালই করে ইস্টবেঙ্গল। শুরু থেকেই আক্রমণের ছক কষেন কোচ আলেজান্দ্রো। ফল মেলে ম্যাচের কয়েক মিনিটের মধ্যেই। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৬ মিনিট। তখনই পিন্টু মাহাতোর দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ শিবির। তারপর গোটা প্রথমার্ধটাই দাপট দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। মাঝে মাঝে প্রতি-আক্রমণে উঠলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভবানীপুর।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য অনেকটা সাবলীল দেখায় শংকরলালের ছেলেদের। আগের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণেও উঠে আসছিল ভবানীপুর ক্লাব। ফলও মেলে ম্যাচের ৫৮ মিনিটে। প্রাক্তন মোহনবাগান তারকা কামোর গোলে সমতা ফেরায় ভবানীপুর। শংকরলালের দল সমতা ফেরাতেই তৎপরতা বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৮২ মিনিটে পেরেজের গোলে এগিয়ে যায় তাঁরা। কিন্তু, সেই লিডও বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লাল-হলুদ শিবির। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে ফের সমতা ফেরান জগন্নাথ ওঁরাও।
এদিনের ড্র-এর ফলে জমে গেল লিগের লড়াই। এই মুহূর্তে ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ পিয়ারলেস। পিয়ারলেসের পরেই ১৪ পয়েন্টে রয়েছে ৩টি দল। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং ভবানীপুর ৮টি করে ম্যাচ খেলে রয়েছে ১৪ পয়েন্টে। স্বাভাবিকভাবেই পয়েন্ট টেবিলের এই পরিস্থিতি লিগের উত্তাপ বাড়াচ্ছে ময়দানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.