প্র্যাকটিসে কার্লেস কুয়াদ্রাত।
স্টাফ রিপোর্টার : শুরুতে ফিটনেস ড্রিল। তারপর ফুটবলারদের দুই দলে ভাগ করে সিচুয়েশন প্র্যাকটিস। সবশেষে চলল ফ্রি-কিক মারার পর্ব।
বুধবার নিউটাউনে ফেডারেশনের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) অনুশীলন চলল একেবারে চিরচেনা পথে। তাহলে কেন এই নিয়ে এত গৌরচন্দ্রিকা? আসলে এদিন থেকেই নতুন মরশুমের জন্য অনুশীলন শুরু করল লাল-হলুদের সিনিয়র টিম। আর প্রথম দিনই কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বুঝিয়ে দিলেন, সামান্যতম সময় নষ্ট করতেও নারাজ তিনি। “গত মরশুমে ট্রফি খরা কাটিয়েছি। সমর্থকরা আবার উৎসব করতে পেরেছিল। এএফসি-র প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগও পেয়েছি আমরা। গতবছর আমরা একটা যাত্রা শুরু করেছি। এবছর তারই দ্বিতীয় পর্ব হবে,” অনুশীলনে নামার আগে বলছিলেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ হেডস্যর।
প্রথমদিনের অনুশীলনে সবমিলিয়ে ১৭ জন হাজির ছিলেন কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) ক্লাসে। সিনিয়র দল থেকে দুই বিদেশি ক্লেটন সিলভা ও সল ক্রেসপোর সঙ্গে ছিলেন গতবারের সৌভিক চক্রবর্তী, নিশু কুমার, মহম্মদ রাকিপ, প্রভসুখন গিল, গুরসিমরন সিং, পিভি বিষ্ণু এবং এবছর দলে আসা মার্ক জোথানপুইয়া, প্রভাত লাকড়া ও দেবজিৎ মজুমদার। দেবজিৎকে দলে নেওয়ার কথা অবশ্য এদিন দুপুরেই সরকারিভাবে ঘোষণা করেছে ইস্টবেঙ্গল। জাতীয় দলে থাকা তারকারা যোগ দেবেন ৮ জুলাই নাগাদ। তবে হিজাজি মাহের, মাদিহ তালাল এবং দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস কবে যোগ দেবেন স্পষ্ট নয়। তাঁদের ভিসা সমস্যা এখনও মেটেনি বলেও জানিয়েছেন কুয়াদ্রাত। ফলে ডুরান্ড কাপে শুরু থেকে তাঁদের খেলা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কোচ বললেন, “ওরা এলে অবস্থা বুঝে খেলাব। না হলে বাকিরা খেলবে। মরশুমের শুরুতেই চোট সমস্যায় পড়তে চাই না।”
প্রথম দিনের অনুশীলন শুরুর আগে ক্লাব ও ইমামির কর্তারা কথা বলেন কোচ-ফুটবলারদের সঙ্গে। কলকাতায় অনুশীলন শুরু করে দিলেও প্রি-সিজনের জন্য বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি কুয়াদ্রাত। বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.